বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবির মুরাদ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা প্রায় এক সপ্তাহ রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবারে কবির মুরাদকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।
শনিবার বাদ এশা রাত ৮টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কবির মুরাদের জানাজা হয়। সেখানে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা।
কবির মুরাদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রয়াত এ নেতার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবউন নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসহ নেতা-কর্মীরা। নয়া পল্টনে জানাজা শেষে কবীর মুরাদের মরদেহ নিয়ে মাগুরায় তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় একটি অ্যাম্বুলেন্স।
রোববার দুপুরে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে আরেক দফা জানাজা শেষে সদর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাড়নান্দুয়ালী কবরাস্থানে দাফন করা হবে এই বিএনপি নেতাকে। মৃত্যুকালে কবির মুরাদ স্ত্রী বেগম মমতাজ কবির, দুই মেয়ে রিফাত কবীর মিতা, ইফাত কবীর তমা এবং এক ছেলে রাশেদ কবীর অনিককে রেখে গেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে লেখাপড়া করা কবীর মুরাদের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন দিয়ে। শিক্ষাজীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগ দেন। তিনি ছিলেন মাগুরা জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার আগে কবির মুরাদ বিভিন্ন সময়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৮ সালের ২২ মার্চ কবীর মুরাদ দেশের শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের নিয়ে ‘জিয়া পরিষদ’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই সংগঠনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এই রাজনীতিবিদ ছিলেন মাগুরা বিএড কলেজ, মাগুরা ল কলেজ এবং ওয়াজেদ আহমেদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া দুঃস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে নিজের নামে একটি ট্রাস্টও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
টিএস/একেএস