‘সময়মতো দেশে চালু হবে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক’
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশে ডিজিটাল উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা জানান।
‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত মেলার উদ্বোধনী পর্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক মন্ত্রণালয়ের সচিব নূর উর রহমান, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন উপস্থিত ছিলেন।
দ্রুত রফতানি বাণিজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত পোশাক শিল্পের জায়গা দখল করে নেবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সময়মতো দেশে চালু হবে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক।
জয় বলেন, একযুগ আগেও দেশে ইন্টারনেট সংযোগ দুষ্প্রাপ্য ছিল। কিন্তু প্রযুক্তির প্রসারে এখন রোবোটিক্স আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ নিতেও প্রস্তুত বাংলাদেশ।
২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক পৌঁছাবে জানিয়ে জয় বলেন, রফতানি বাণিজ্যে তৈরি পোশাককেও নিকট ভবিষ্যতে ছাড়িয়ে যাবে প্রযুক্তি পণ্য।
পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তিসহ (ফাইভ জি) দেশের ডিজিটাল উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরতে প্রথমবারের মতো এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী পর্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকার জন্য ১৪টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা দেয়া হয়। তিন দিনে বিভিন্ন বিষয়ে ১৩টি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সরকারের মন্ত্রী ও দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন।
মেলায় প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক কেবলে ফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন সংযোগ), মোবাইল অ্যাপ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি সেখানে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
ফাইভ-জি প্রযুক্তির প্রদর্শন করছে জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া ও এরিকসন।
সেবা পাওয়া যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টেলিমেডিসিন ও এটিএম।
ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ (আইএসপি) ৮২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে মেলায়। এতে ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।
www.digitalbangladeshmela.org.bd ওয়েব লিংকে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করলে বিনামূল্যে মেলা দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। মেলায় প্রবেশমুখেও রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা রয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় যাওয়া-আসার সুবিধার্থে দর্শনার্থীদের জন্য শাটল বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
ঢাকার উত্তরা, মালিবাগ, মতিঝিল, আজিমপুর ও মিরপুর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ও দুপুর ১টায় বাসগুলো মেলার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। মেলা শেষে দর্শনার্থীদের নিয়ে রাত ৮টায় বাসগুলো আবার ফিরতি রুট ধরবে।
এসএমএম