বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদ করায় দর্শকদের দুয়োধ্বনি! 

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২১, ০৫:৪১ পিএম বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদ করায় দর্শকদের দুয়োধ্বনি! 

সাম্প্রতিক সময়ে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার নামে আন্দোলন শুরু হয়, যা ছড়িয়ে পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। তবে ইংলিশ ফুটবলাররা বর্ণবৈষ্যম্যের প্রতিবাদে হাঁটু গেঁড়ে বসায় তাদের দুয়োধ্বনির শিকার হতে হয়েছে দর্শকদের কাছ থেকে। এমন ঘটনায় হতবাক খেলোয়াড়রা, তবে দর্শকদের চিন্তাও কিছুটা ভিন্ন। 

কিছুদিন আগেই মিডলসবার্গের বিপক্ষে ইউরোর প্রস্তুতি সারতে মাঠে নেমেছিলো ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে হাঁটু গেঁড়ে বসতেই দর্শকদের দুয়োধ্বনি ধরা পড়লো ক্যামেরায়। দলের ম্যানেজার গ্যারেথ সাউদ্গেটের ধারণা, দর্শকরা এই প্রতিবাদকে রাজনৈতিক ভেবে গুলিয়ে ফেলছে। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক রিও ফার্ডিন্যান্ড তো দর্শকদের অশিক্ষিত বলে সম্বোধন করলেন। সাবেক সেন্টার ব্যাক খেলোয়াড়ের ধারণা, অর্ধেক দর্শক জানেনও না তারা দুয়োধ্বনি কেন দিচ্ছেন। তবে ঘটনার উলটো পিঠও আছে। 

অনেকেই ভাবছেন, এমন প্রতিবাদ কেবলই নিয়ম পালনের জন্য এবং লোক দেখানো হয়ে গেছে। ফুটবলের সাথে রাজনীতি মেশানো ছাড়া এটি কোনো কাজে আসেনা। এমনকি অ্যান্ড্রু নামে একজন ভক্ত ইংলিশ রেডিও ওয়ানকে জানান, এমন প্রতিবাদকে তিনি স্রেফ অস্তিত্বের রাজনীতি বলে মন্তব্য করেন তিনি। অ্যান্ড্রুর মতে, “আমরা বর্ণ নির্বিশেষে ইংল্যান্ডের ভক্ত। কেউ এই দুয়োধ্বনিকে বর্ণবাদ হিসেবে দেখতে পারে, তবে আমি এটি মানি না।” 

কিছুদিন আগেই ক্রিকেটার অলি রবিনসন তার আট নয় বছর আগের বর্ণবাদী টুইটের জন্য আন্তর্জাতিক টেস্ট অভিষেকেই নিষিদ্ধ হয়েছেন। একই ফাঁদে পড়েছেন ইয়ন মরগ্যান, স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস অ্যান্ডারসনেরাও। এমন অবস্থায় ফুটবল মাঠে ভক্তদের এমন আচরণ বেশ সমালোচিত হয়েছে, তবে মানসিকতায় পরিবর্তন আসতে আরও সময় লাগবে তা স্পষ্ট।