যেন ফাইনালের অনেক আগেই আরেক ফাইনাল! শেষ আটে মুখোমুখি যে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর এক দলকে সেমিফাইনালের আগেই নিতে হবে বিদায়। তার আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইয়ের আশা।
ইতিহাস বলছে, বিশ্বকাপে দুদলই হয়েছে একে অন্যের কান্না-হাসির কারণ। কাতারে এবার কেউ কাউকে ছাড় দেয়া তাই অনিবার্যভাবেই যেন বারণ।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে তিনে আর্জেন্টিনা। বিপরীতে ডাচরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই, অষ্টম স্থানে আছে। দুদলের তফাৎটা অতি সূক্ষ্ম।
আগে ৯ বারের দেখায় আলবিসেলেস্তেরা জিতেছে ৩ বার, তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি জিতেছে কমলা জার্সিধারীরা, মোট ৪ বার। বিশ্বমঞ্চে হিসাবটা একেবারে সমানে সমান। ৫ বারের মুখোমুখিতে দুই জয়, দুই হার ও এক ড্র।
১৯৭৪ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে আকাশী-নীলদের উড়িয়ে দিয়েছিল ডাচবাহিনী। ১৯৭৮ সালে দুদল ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল। অতিরিক্ত সময়ের জোড়া গোলে ৩-১এ জিতে ঘরের মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।
২০ বছর পর আবারও দুদল বিশ্বআসরে লড়ে। ফ্রান্সে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ মিনিটের গোলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সেমির টিকিট কেটেছিল নেদারল্যান্ডস। আট বছর পর ২০০৬ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে তারা গোলশূন্য ড্র করে।
ব্রাজিলে ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোলের দেখা পাওয়া যায়নি। টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। ৪-২ গোলে জিতে ফাইনালে উঠেছিল মেসির দল।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় লুসেইল স্টেডিয়ামে এবারের মহারণ।
জাগরণ/খেলা/বিশ্বকাপফুটবল২০২২/কেএপি