• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২১, ১০:০১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৭, ২০২১, ১০:১০ এএম

দেশে ৭ দিনে শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে ৫০ শতাংশ

দেশে ৭ দিনে শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে ৫০ শতাংশ
সংগৃহীত ছবি

করোনায় ভারতীয় ডেল্টা ধরণের সংক্রমণ বাড়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা বোঝার জন্য দুটি তথ্যই যথেষ্ট। মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগী বেড়েছে ৪৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। একই সময়ে মৃত্যু বেড়েছে ৪৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।

এই পরিস্থিতিকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘তৃতীয় ঢেউয়ের শুরু’ বলতে চান সরকারের রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা।

এরই মধ্যে শনিবার (২৬ জুন) করোনার সংক্রমণে মৃত্যু ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে।

গত ১৯ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহে ২৩ হাজার ৫৪১ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। তার পর থেকে ২৬ জুন শনিবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে নতুন করে আরও ৩৫ হাজার ১১১ জন শনাক্ত হয়েছে।

অর্থাৎ মহামারীর ২৪তম সপ্তাহের তুলনায় ২৫তম সপ্তাহ শেষে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৫৭ বা ৪৯ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৯৫, যা পরবর্তী এক সপ্তাহে হয়েছে ৫৮৭। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে মৃত্যু সংখ্যা ১৯২ বা ৪৮ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়েছে।

ঢাকার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২২ জুন থেকে ঢাকার আশপাশের চার জেলাসহ মোট সাত জেলায় লকডাউন চলছে। ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জে লকডাউন দিয়ে কার্যত রাজধানী ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা ছিল। তবে সে চেষ্টা কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মধ্যেই দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ থেকে বাংলাদেশ এখন অনেক দূরে। লকডাউন কার্যকর করার পর সংক্রমণের গতি ধীর হতেও সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগে। সে হিসাবে আরও বেশ কিছুদিন সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকার আশঙ্কা রয়েছে। সে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে পারে।

লকডাউনের পাশাপাশি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো, শনাক্ত হওয়া রোগীদের আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন করা) রাখা, তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিনের (সঙ্গনিরোধ) ব্যবস্থা এবং সবার স্বাস্থ্যবিধি বিশেষত মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। না হলে লকডাউনের একটি নির্দিষ্ট সময় পর আবারও সংক্রমণ বেড়ে যাবে।

জাগরণ/এসএসকে