• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৮:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ০৮:০০ পিএম

আদালতে অধ্যক্ষ সিরাজকে দেখেই জ্ঞান হারালেন নুসরাতের মা

আদালতে অধ্যক্ষ সিরাজকে দেখেই জ্ঞান হারালেন নুসরাতের মা
অধ্যক্ষ সিরাজকে দেখে এজলাসে জ্ঞান হারানোর পর শিরিন আক্তারকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে - ছবি : জাগরণ

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য ও জেরা চলাকালে অধ্যক্ষ সিরাজকে দেখেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার।

বুধবার (১০ জুলাই) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাকে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ও আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু ফেনী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বুধবার দুপুর ১২টা থেকে আদালতে নুসরাতের মা শিরিন আক্তারের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছিল। এ সময় বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। আদালতের এজলাসে মাদ্রাসার বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ সিরাজসহ অপর আসামিদের দেখেই চিৎকার করে কেঁদে উঠে বেলা আড়াইটার দিকে আদালতের এজলাসেই জ্ঞান হারান শিরিন আক্তার।

এদিকে বিকেল ৫টার দিকে ফেনী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ডাক্তার শাহনেওয়াজ সিরাজ মামুন জানান রোগী এখন শঙ্কামুক্ত।

বুধবার সকালে মামলায় হাজিরার জন্য বেলা ১১টার দিকে ১৬ আসামিকে ফেনী কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলার শুনানি উপলক্ষে আদালত ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা। আদালত ভবন এবং বিচারকক্ষে প্রবেশে পূর্বের মতো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

গত ২৭ জুন থেকে মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। পরে নুসরাতের বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠী নাসরিন সুলতানা, মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন, নৈশপ্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকা দোকানদার জসিম উদ্দিন ও দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিনই এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম চলছে।

গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে সিরাজ-উদ-দৌলার সহযোগীরা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান তিনি। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ফেনীর পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে মোট ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রের ১৬ আসামি হলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।

এনআই

আরও পড়ুন