সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার গোশালায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিরাম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে ওই তরুণীকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণী বলেন, বাড়ির পার্শ্ববর্তী দুলাল রায়ের ছেলে শুভ রায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর প্রায় ১ বছরের সম্পর্কে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এর মধ্যে ওই তরুণী শুভকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন, কিন্তু শুভ নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে।

গত ১২ জুলাই বিকেলে শুভ ওই তরুণীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আসে। এ সময় শুভর সাথে তার কয়েকজন বন্ধু ছিল। তারা তরুণীকে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে শুভ জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে শুভসহ তরুণীকে আটক করে। পরে তাদের মধ্যে বিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয় স্থানীয়রা। কিন্তু শুভ স্থানীয় লোকজনকে ম্যানেজ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় স্থানীয় মাতব্বররা শনিবার বিকেলে সমাধানের উদ্যোগ নেন। কিন্তু শুভ ওই বৈঠকে উপস্থিত না হলে তরুণী একাধিক ঘুমের ট্যাবলয়েট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাতে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তরুণীর মা শুভকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক অভিরাম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) রফিকুল ইসলাম বলেন, যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাড়ির মালিক অভিরামকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তরুণীর মা শুভকে প্রধান করে অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত আসামি শুভকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এনআই