• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০১৯, ০৮:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৯, ২০১৯, ০৮:৩১ পিএম

রিফাত হত্যা

আদালতে দায় স্বীকার মিন্নির

আদালতে দায় স্বীকার মিন্নির
আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি - ফাইল ছবি

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৯ জুলাই) বেলা ২টার দিকে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হয়। জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আদালত থেকে বের করে পুলিশি নিরাপত্তায় মিন্নিকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ১৬ জুলাই সকাল পৌনে ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে মিন্নিকে পুলিশলাইনে আনা হয়। ওইদিন রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর ১৭ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করা হয়। বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ ঘণ্টার মধ্যেই অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে মিন্নিকে শুক্রবার বেলা ২টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি জানতে পেরে বিকাল ৫টার সময় আদালতের সামনে হাজির হন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিন্নিকে যখন আদালত থেকে নামানো হয়, তখন তাকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল। তিনি ভালোভাবে হাঁটতে পারছিলেন না। গণমাধ্যমকর্মীরা মিন্নিকে কথা বলতে বললেও তিনি চুপ থাকেন।

৫ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার আগে মিন্নিকে কেন আদালতে হাজির করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, মিন্নি স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হওয়ায় তাকে আদালতে আনা হয়েছে। মিন্নি কি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, সে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, জবানবন্দির কপি হাতে না পেয়ে কিছু বলা যাবে না।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর আদালতের সামনে হাজির হয়ে চিৎকার দিয়ে জানিয়েছেন, তার মেয়েকে নির্যাতন শেষে আদালতে আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বরগুনার এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও তার ছেলে সুনাম দেবনাথ ষড়যন্ত্র করে মিন্নিকে ফাঁসিয়েছেন।

পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তারা ১৫ জনকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করেছেন। মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি ৩ জন এখনো রিমান্ডে রয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন