• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৩:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৩:২১ পিএম

মিন্নির স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত

মিন্নির স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। বরগুনা জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য গতকাল মঙ্গলবার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আবেদন করেন। বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। মিন্নির পক্ষের আইনজীবী মাহাবুবুল বারী আসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বরগুনার জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি মঙ্গলবার তার কাছে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করেছেন। তিনি গতকালই বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আবেদন পৌঁছে দিয়েছেন।

বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী আসলাম জানিয়েছেন, গতকাল বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন শুনানি হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান মামলার সকল নথি তলব করেছিল। জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে নথি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসলেই মিন্নির আবেদনের শুনানির তারিখ ধার্য করা হবে।

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গত ১৬ জুলাই সকাল পৌনে দশটার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। ওইদিন রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়। পরের দিন বিকেল সোয়া তিনটার দিকে কারাগার থেকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পরেই ১৯ জুলাই বেলা ২টার দিকে মিন্নিকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে মিন্নিকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই থেকে মিন্নি বরগুনা কারাগারে রয়েছে।

এদিকে, আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে মামলার চার্জ গঠনের জন্য রিফাত শরীফ হত্যা মামলার গ্রেপ্তারকৃত ১৫ জন আসামিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আগামী ১৪ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানীর তারিখ ধার্য করে ১৫ মিনিট পরেই আবার আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হচ্ছে- রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবন, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি মুসা বন্ড, ৭ নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, ৮ নম্বর আসামি রায়হান ও ১০ নম্বর আাসামি রিফাত হাওলাদারকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মিন্নিসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। তবে মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে এখনও চার জন গ্রেপ্তার হয়নি। তারা হচ্ছেন- মুসা, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রায়হান ও রিফাত হাওলাদার। 

কেএসটি

আরও পড়ুন