• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০১৯, ০৭:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৬, ২০১৯, ০৭:০১ পিএম

বোরহানউদ্দিনে পৃথক ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্রী ও বিধবা ধর্ষিত

বোরহানউদ্দিনে পৃথক ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্রী ও বিধবা ধর্ষিত
হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ধর্ষিত মাদ্রাসাছাত্রী ও বিধবা  -  ছবি : জাগরণ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পৃথক ঘটনায় অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৩) ও এক বিধবাকে (৩৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ধর্ষিতারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১৫ ও ১৬ আগস্ট) বোরহানউদ্দিনের বড় মানিকা ও কাচিয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে।

ধর্ষিতাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে মাদ্রাসাছাত্রীর মা তাকে রেখে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। তার বাবা নদীতে মাছ শিকারে যান। এ সুযোগে একই এলাকার আব্দুল রশিদের ছেলে মো. সোহাগ ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় তার বাবা ছালাহউদ্দিন বাড়ি এলে তার মেয়ের ডাক-চিৎকার শুনতে পান। ওই সময় ধর্ষক তার বাবাকে মারধর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা শুক্রবার বিকেলে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে একই উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ফুল কাচিয়া গ্রামের বিধবা নারী (৩৫) তার স্বামী নজরুল ইসলামের মৃত্যুর পর স্বামীর বাড়িতেই সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। শুক্রবার রাতের দিকে ওই নারী তার মুরগির খামারে খাবার দিতে গেলে একই এলাকার মাদকসেবী মাকসুদ, সালাহউদ্দিন ও আলমগীর তাকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী গরুর খামারে নিয়ে হাত-পা বেঁধে দল বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে সকালে স্থানীয়রা তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে ধর্ষিতার বড় বোন বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভোলা সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সারজিনা জানান, ধর্ষিতাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. এনামুল হক ঘটনা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদ্রাসাছাত্রীর ধর্ষণের বিষয়ে ছাত্রীর বাবা ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন এবং অপর ধর্ষণের বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি। তিনি আরো জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এনআই

আরও পড়ুন