• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০১৯, ০৫:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৩, ২০১৯, ০৫:০৯ পিএম

অনুমতি ছাড়া ঢাকার আকাশে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ

অনুমতি ছাড়া ঢাকার আকাশে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ
ড্রোন-ছবি : ইন্টারনেট

ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার সরকারি ছুটি। এর মধ্যেই রাজধানীতে অনুমতি ছাড়া ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ করল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

জননিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা মহানগরীতে অননুমোদিতভাবে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এর আগে পুলিশ বিভাগ ড্রোন আকাশে উড়ানোর বিষয়ে এক নির্দেশে বলেছিল, ‘ড্রোন উড্ডয়নের তিন মাস আগে সিভিল অ্যাভিয়েশনে আবেদন করে অনুমতি নিতে হবে। সে আদেশটি এখনও বলবৎ রয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ‘‘ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কতিপয় ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিনোদনের জন্য বা ছবি ধারণের জন্য বা অজ্ঞাত কারণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ড্রোন উড্ডয়ন করে থাকেন। যে কোনও ধরনের ড্রোন উড্ডয়নের জন্য অনুমতি দেয়ার বিষয়টি সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের এখতিয়ারভুক্ত। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ড্রোন উড্ডয়ন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাছাড়া অননুমোদিত ড্রোন উড্ডয়ন জননিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করাসহ জনমনে ভীতির সঞ্চার করতে পারে। এমতাবস্থায়, জননিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য ঢাকা মহানগরীতে অননুমোদিতভাবে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হলো। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ড্রোন উড্ডয়ন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।’’

এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক বছরে ৫০টিরও বেশি চালকবিহীন ছোট উড়ন্ত যান বা ড্রোন আটক করা হয়। সর্বশেষ গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একজন যাত্রীর লাগেজ থেকে একটি ড্রোন জব্দ করেছে শুল্ক বিভাগের গোয়েন্দারা। ড্রোনটি প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। তার সাথে উন্নতমানের ক্যামেরা আর সেন্সর রয়েছে।

তার আগে গত বছর ২৬ জুলাই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পোস্টাল পার্সেলে আনা বোমা বহনে সক্ষম ড্রোন আটক করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে আসা চার কেজি ওজনের দুটো প্যাকেটের পার্সেল থেকে ওই ড্রোনটি আটক করা হয়। এ সকল ড্রোন বিদেশে বোমা হামলার কাজে ব্যবহার করছে আর্ন্তজাতিক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। শুধু তাই নয়, ড্রোন দিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে উড়ন্ত বিমানের। এমনটাই মন্তব্য করলেন অপরাধ বিশেষজ্ঞ হাফিজুর রহমান কার্জন।

এ প্রসঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) দৈনিক জাগরণকে জানান, আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী ড্রোন, রোবট আমদানি নিষিদ্ধ। ড্রোনে বোমা সংযোজন করে যে কোনও নাশকতা করা যেতে পারে। এমনকি তাতে ক্যামেরা বসিয়ে স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ যে কোনও স্থাপনার ছবি ও তথ্যও সংগ্রহ করা যায়। নিরাপত্তার জন্য ড্রোনের অপ-ব্যবহার ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে ওই ড্রোন আমদানি ও ব্যবহার সম্পর্কে নীতিমালা তৈরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর আটক সব ড্রোনের বিষয়েই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন