
হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ১০ নেতার ব্যাংক লেনদেনের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে ৭টি ব্যাংক থেকে এসব তথ্য এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে রাজি নয় দুদক। ওই নেতাদের তলব করা হবে বলেও জানা গেছে।
মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে অবৈধ সম্পদের। দুদকের কাছে অভিযোগ আসে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ ধর্মীয় কাজে দানের টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন হেফাজত নেতারা।
দুদকের কমিশনার মোজাম্মেল হক খান জানান, গত মাসে বিএফআইইউয়ের কাছে ১৯টি মাদ্রাসা-এতিমখানার ব্যাংক হিসেবের তথ্য চায় দুদক। এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আরো ৫০ জনের ব্যক্তিগত হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়।
এদের সবাই হেফাজতে ইসলামের রাজনীতির সাথে জড়িত। দুদকের চাহিদা অনুযায়ী ১০ হেফাজত নেতা ও ৫টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য দিয়েছে বিএফআইইউ।
১০ জনের তালিকায় জুনায়েদ বাবুনগরী, আব্দুর রহিম কাসেমী ও জুনায়েদ আল হাবীবের মতো নেতারা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, ব্যক্তির পরিচয় না দেখে দুর্নীতির দিকেই নজর দেয়া উচিত অনুসন্ধানকারীদের।
প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত আরো বিশদভাবে বিশ্লেষণ করতে ১০ হেফাজত নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করবে দুদক।