• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২১, ১২:২২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২, ২০২১, ১২:২২ এএম

জেলে বসে ডেসটিনির রফিকুলের জুম মিটিং

জেলে বসে ডেসটিনির রফিকুলের জুম মিটিং

ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনের কারাবন্দি অবস্থায় জুম অ্যাপে মিটিংয়ের অভিযোগে ৮ কারারক্ষীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেলে কর্তব্যরত আট কারারক্ষীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা অধিদফতর। 

এ ঘটনায় এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেছিলেন, কোনও কারারক্ষীর দায়িত্বে অবহেলা থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ সত্য হলে রফিকুল আমিনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

একারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে, তা তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে। কারা অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শক (ঢাকা) তৌহিদুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডায়াবেটিসজনিত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দুই মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেলে আছেন রফিকুল আমিন। অসুস্থতার অজুহাত কাজে লাগিয়ে তিনি কারা তত্ত্বাবধানে থেকেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। জুম মিটিংয়ের সাম্প্রতিক কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, নতুন এমএলএম ব্যবসার জন্য শিগগির এক হাজার ৩০০ মার্কেটিং এজেন্ট নিয়োগের কথা বলছেন তিনি। মিটিংয়ের ভিডিওতে তাকে ‘মিস্টার এ’ নামে দেখা গেছে, প্রোফাইল ছবিতে লেখা ছিল ইংরেজি হরফ ‘আর’। এতে ডেসটিনির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও যুক্ত ছিলেন। মিটিংয়ে রফিকুল বলেন, কেরানীগঞ্জে (কারাগারে) যাওয়ার কারণে সেই কাজ (নিয়োগ) পিছিয়ে গেছে।

কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় এপ্রিলে অসুস্থ হয়ে পড়েন রফিকুল। পরে তাকে বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে তার নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন দু’জন কারারক্ষী। বিএসএমএমইউ শাহবাগ থানা এলাকায় হওয়ায় পুলিশ সদস্যরাও এ বিষয়ে নজর রাখেন।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনিরি এমডি রফিকুল আমিন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরের অক্টোবরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে চারবার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও ৯৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

জাগরণ/এমএ