• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১, ২০২০, ০২:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১, ২০২০, ০৪:৪৭ পিএম

আরও ২ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৫৭১

আরও ২ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৫৭১
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যচিত্র

আক্রান্তের ৫৫তম দিন

............

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৫৭১ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। যা বৃহস্পতিবারের (৩০ এপ্রিল) তুলনায় ৭ জন বেশি। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ২৩৮ জনে। একই সময়ে মারা গেছে আরও ২ জন। বৃহস্পতিবার মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল ৫ জন। সব মিলিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্য ১৭০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১৭৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দেশে মোট ১০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

শুক্রবার (১ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১টি কেন্দ্র থেকে ৫ হাজার ৯৫৮ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যা গতকালের তুলনায় ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৩ টি। যা গতকালের তুলনায় ১২.২৫ শতাংশ বেশি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০ হাজার ২৩৯টি।

তিনি জানান, যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ১ জন ও ১ জন নারী। তাদের মধ্যে ১ জন ঢাকার মধ্যে, অন্যজন ঢাকার বাইরে। তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১ জন ও ৪০-৫০ বছরের মধ্যে ১ জন। 

নাসিমা সুলতানা সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, দেশে এখন পর্যন্ত যাদের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৮০০ জনের এখন কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ নেই।

তবে এমন রোগীদের সুস্থ ঘোষণা করার আগে যে দু’টি টেস্ট করতে হয়, তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে তার মধ্যে একটি টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষা এখনও হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।

শুরুর দিকে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ যথেষ্ট পরিমাণ পরীক্ষা করছিল না বলে অভিযোগ উঠলেও এপ্রিলের প্রথমভাগ থেকে প্রতিদিনই গড়ে ২ থেকে ৩ হাজার মানুষের পরীক্ষা করার পর করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর শনাক্ত হওয়ার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে থাকে।

বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ১ হাজার ৫২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৩ জন, মোট ছাড় পেয়েছেন ৭৬৪ জন। 

যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তারা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শ থাকবে, তারা যেন এখনও নিজ ঘরে অবস্থান করেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ব্রিফিংয়ে ডা. নাসিমা জানান, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যধি হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, রিজেন্ট হাসপাতাল (উত্তরা), রিজেন্ট হাসপাতাল (মিরপুর), সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, রাজারবাগ হাসপাতাল ও লালকুঠি হাসপাতালে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দেশে ৫৬৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয় ও ৫ জনের মৃত্যু হয়। তার আগের দিন শনাক্ত হয় ৬৪১ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দেশের ৬৩টি জেলায় করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে।

শুধু রাঙামাটি জেলাতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সন্ধান মেলেনি।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৩ লাখ। এখন পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৮ হাজার ৩৫ জন।

ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৩৯ হাজার ১৮২ জন।

বর্তমানে ভাইরাসটির সংক্রমণ রয়েছে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৪ জনের মধ্যে। তাদের মধ্যে ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ৮১০ জনের সংক্রমণ মৃদু এবং ৫০ হাজার ৯৪৪ জনের অবস্থা গুরুতর।

ভাইরাসটিতে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ৯৫ হাজার ২৩ জন এবং মারা গেছেন ৬৩ হাজার ৮৫৬ জন।

এসএমএম

আরও পড়ুন