• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০১৯, ০৩:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৩, ২০১৯, ০৩:৩৯ পিএম

চালের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকার ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট

চালের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকার ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট

সাতক্ষীরা জেলার একটি খাদ্যগুদামে ৮০০ মেট্রিক টন চালের বস্তায় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকার কারণ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। জেলার শ্যামনগর উপজেলার সকিপুরের এই গুদামের বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদেরকে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।  

রোববার (২৩ জুন) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেত।

আদালতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার একটি গুদামে থাকা চাল পরীক্ষা করে আদালত আমাদের একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন। আমরা চালের ৪টি নমুনা পরীক্ষা করে সে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। আদালত আমাদের প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এরপর আদালত ওইসব চালের বস্তায় কেন মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করা হয়নি সে বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদেরকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সকিপুর খাদ্যগুদামে ৮০০ মেট্রিক টন চাল সংরক্ষণ করা হয়। কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড় দিন উপলক্ষে এই চালগুলো কুষ্টিয়া গুদাম থেকে সংগ্রহ করা হয়। এমনকি নতুন চালের বস্তা চারপাশ দিয়ে ঘিরে রেখে এর মাঝখানে পুরাতন এসব চালের বস্তা রাখা হয়। এভাবে গুদামজাত করা এবং এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।

বিষয়টি স্থানীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়। এরপর ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে স্থানীয়রা বিষয়টির তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

এমএ/টিএফ