বেনাপোল বন্দরে আগুন, কোটি টাকার আমদানি পণ্য পুড়ে ছাই

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০১৯, ০৩:৫১ পিএম বেনাপোল বন্দরে আগুন, কোটি টাকার আমদানি পণ্য পুড়ে ছাই
বেনাপোল বন্দরের ৩৫ নম্বর কেমিক্যাল শেডের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস  -  ছবি : জাগরণ

দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৫ নম্বর কেমিক্যাল শেডে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে আগুন লেগে কোটি টাকার আমদানি পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় বন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ও বন্দরের শ্রমিকরা একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখেন। পরে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।

কীভাবে আগুন লেগেছে কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছে না। তবে বন্দর শেডের মধ্যে রাখা দাহ্য কেমিক্যাল থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষ ৭ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে ঢাকায় পাঠিয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর তদন্ত করা হবে। তদন্তের পর আগুন লাগার প্রকৃত কারন জানা যাবে।

আগুন লাগা ৩৫ নম্বর শেড বন্দরের পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।

গোডাউনের ইনচার্জ মনির হোসেন জানান, এখানে লিকুইড কেমিক্যাল ছিল। গোডাউন খুলেই ভেতরে আগুন দেখতে পেয়ে বন্দর পরিচালক ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। বন্দর শ্রমিক ও আনসার সদস্যরা পাশের গোডাউন থেকে আগুন নেভানো গ্যাস এনে আগুনে নিক্ষেপ করলে আগুন অনেকটা কমে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন পরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সঠিকভাবে বলতে পারছি না।

বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সুমন হোসেন বলেন, বেনাপোল বন্দরের ৩৫ নং গোডাউনের আগুন এক ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে তা এই মুহুর্তে বলা যাবে না।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক প্রদোষ কান্তি দাস জানান, আগুন এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না। ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন এলে তদন্ত কাজ শুরু করা হবে। আগুন লাগার ঘটনাটি বন্দর চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে কী কারণে আগুন লেগেছে ও কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যাবে বলে জানান তিনি।

এনআই

আরও সংবাদ