সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় হাওরে নৌকা ডুবির ঘটনায় ছয় শিশুসহ নয় জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে একজন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের কালিয়াকোট হাওরে নৌকা ডুবির পরই চার শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে আরো ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে দুই শিশু ও তিন নারীর লাশ ছিল।
মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া মৃত চার শিশু হলো- মাছিমপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে শামীম (৩), একই গ্রামের বদরুল মিয়ার ছেলে আবিদ (৪), নোয়ারচর গ্রামের আফাজরের ছেলে সোহান (২) ও চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে আজম (২)।
বুধবার ভোরে উদ্ধার লাশের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলের বিয়েতে যোগ দিতে তার ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলামসহ ৩১ জন সন্ধ্যায় মাছিমপুর গ্রাম থেকে খোলা ট্রলারে পেরুয়া গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। রাত আটটার পর যাত্রী বোঝাই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় ২১ জনকে আশপাশের গ্রামের লোকজন নৌকা নিয়ে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ছয় শিশুসহ নয় জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন একজন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জের ডুবুরি দলের সদস্যরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় হাওরে নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
