গাজীপুরের কালীগঞ্জে ছুরিকাঘাত করে পঞ্চাশোর্ধ এক বৃদ্ধাকে খুন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের উলুখোলা গ্রাম থেকে ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। খুনের বিষয়টি থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক নিশ্চিত করলেও ঠিক কি কারণে খুন হয়েছে তা বলতে পারেননি। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাজীপুরের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর।
নিহত বৃদ্ধা উলুখোলা গ্রামের মৃত সমীর রোজারিও’র স্ত্রী বেরোনিকা রোজারিও। তিনি মঠবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়ার কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই মহিলা মঠবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়ার কাজ করার সুবাদে প্রত্যহ পাশের বাড়ির কয়েকজন মেয়েকে তার সাথে স্কুলে পাঠাতেন অভিভাকরা। প্রতিদিনের ন্যায় সোমববার সকালে বেরোনিকার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির গেইট খোলা। এ সময় ছাত্রীদের একজন মাসি মাসি বলে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখতে পায় বিছানায় বেরোনিকার রক্তাক্ত দেখ পড়ে আছে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকারে অভিভাবকসহ অন্য ছাত্রীরাও ঘরে ঢুকে একই অবস্থা দেখতে পেয়ে আশপাশের মানুষকে খবর দেয়। পরে তারা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন।
কালীগঞ্জ থানাধীন উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রূপন চন্দ্র সরকার জানান, বেরোনিকা রোজারিও বাড়িতে একা থাকতেন। তার তিন মেয়ে রয়েছে। এদের একজন টঙ্গীর পাগার এলাকায় ও বাকি দুইজন চট্টগ্রামে চাকরি করেতন। সকালে সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীরা ফাঁড়িতে খবর দেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, এই মুহুর্তে খুনের বিষয়টি ছাড়া আর কোন কিছু নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এসে ছুড়িকাঘাত করা বেরোনিকার মরদেহ দেখতে পেয়েছি। তবে কি কারণে খুন হতে পারে এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তিনি বাড়িতে একা থাকতেন এবং তার সন্তানরা চাকরির সুবাদে অন্যত্র থাকতেন। তাদের খবর দিয়েছি, তারা আসুক তাদের সাথে কথা বলি। তারপর মামলা ও বিস্তারিত বিষয় জানানো যাবে। তবে নিহতের মরদেহ প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হানপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
কেএসটি
