বগুড়ায় হাত-পায়ের রগ কেটে পল্লী চিকিৎসককে হত্যা 

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৫:৩১ পিএম বগুড়ায় হাত-পায়ের রগ কেটে পল্লী চিকিৎসককে হত্যা 

বগুড়ার ধুনটে জমিজমার বিরোধের জের ধরে এক পল্লী চিকিৎসককে হাত-পায়ের রগ কেটে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কামরুল ইসলাম নামের এক বহিস্কৃত যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ২টায় উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের পশ্চিম নান্দিয়ারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুস সবুর ধুনট উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও নান্দিয়াপাড়া এলাকার রহিম বকসের ছেলে। 

স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সবুরের সাথে জমিজমা নিয়ে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের যুবলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইমলামের বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার দুপুরে কামরুল ইসলাম বিরোধ আপোষের কথা বলে সবুরকে মোবাইলফোনে ডেকে নান্দিয়ারপাড়ার একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম (৩৮), সবুজ মিয়া (৩৪), সাগর মিয়া (১৮) ও বিপুল হোসেন (২৮) সহ আরো ৪/৫জন ব্যক্তি অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা করে। এ সময় কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সবুরকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা থানায় খরব দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

ধুনট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শেখ মতিউর রহমান জানান, প্রায় ১০ মাস আগে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে কামরুল ইসলামকে বহিস্কার করা হয়। তবে উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সবুরকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, লাশের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

একেএস

আরও সংবাদ