উৎপাদনে রেকর্ড

প্রথমবার লাভের মুখ দেখল মধ্যপাড়া পাথর খনি

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০১৯, ০৭:০২ পিএম প্রথমবার লাভের মুখ দেখল মধ্যপাড়া পাথর খনি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি - ছবি : জাগরণ

লোকসানের আবর্ত থেকে বেরিয়ে এই প্রথম লাভজনক পর্যায়ে উন্নীত হলো দিনাজপুরের পার্বতীপুরে দেশের একমাত্র খনিজ পাথর উত্তোলন প্রতিষ্ঠান মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল)।

এই সাফল্য উদ্‌যাপনে খনি পরিচালনা, উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেলারুশভিত্তিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া টেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) মধ্যপাড়া পাথর খনি ও জিটিসি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, খনি শ্রমিক, খনি পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ ১০ হাজার অতিথিকে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় প্রীতিভোজে আপ্যায়িত করে। এ উপলক্ষে খনির পার্শ্ববর্তী মধ্যপাড়া কলেজ মাঠে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশ-বিদেশের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এর আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া টেস্ট কনসোর্টিয়ামের (জিটিসি) চেয়ারম্যান ড. মো. সিরাজুল ইসলাম কাজীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি।

প্রধান অতিথি জিটিসির পরিচালনায় দেশের একমাত্র পাথর খনি লোকসানের ধারা থেকে বেরিয়ে লাভজনক পর্যায়ে উন্নীত হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, খনির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও খনির শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানান।

সভায় আরও বক্তব্য দেন খনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির নির্বাহী পরিচালক জাবেদ সিদ্দিকী, পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনাজ মিথুন মুন্নী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তাহের মোহাম্মদ সামছুজ্জামান, পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান শাহ প্রমুখ।

খনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (জিটিসির) নির্বাহী পরিচালক জাবেদ সিদ্দিকী বলেন, মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে বর্তমানে প্রতিদিন তিন শিফটে ৬ হাজার মে. টন পাথর উৎপাদিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি পাথর উত্তোলনে পূর্বের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এবং খনিটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তারা দায়িত্ব নেয়ার আগে এ খনি থেকে এক শিফটে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ মে. টন পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হতো। তিনি দাবি করেন, এ খনির উৎপাদিত পাথরের গুণগতমান ভালো। তাই তিনি দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে এ খনির পাথর ব্যবহারের অনুরোধ জানান।

এনআই

আরও সংবাদ