‘এ পড়ে গেলাম, অ্যাক্সিডেন্ট হবে ড্রাইভার সাবধান’

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০১৯, ০১:৫৯ পিএম ‘এ পড়ে গেলাম, অ্যাক্সিডেন্ট হবে ড্রাইভার সাবধান’

যখন গাড়ি হেলিয়া দুলিয়া চলে তখন ‘এ পড়ে গেলাম, অ্যাক্সিডেন্ট হবে-ড্রাইভার সাবধান’ বলে যাত্রীরা চিৎকার দিয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠে। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেহালদশায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রায়পুর ও রামগঞ্জ উজেলার হাজারও মানুষ। ৯০ ভাগ স্থানে কাপেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। 

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সাথে রামগঞ্জ উপজেলার যোগাযোগের প্রধান সড়ক এটি। এদিকে সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বর্তমানে সীমিত পরিসরেই এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজারো মানুষ। 

রায়পুর এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফান্ডিংয়ের অভাবে এত বছর সড়কটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। গত মে মাসে ৭ কোটি ৫০ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয়ে সড়কটির টেন্ডার হয়েছে। এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছে অর্থ বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন রায়পুর উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের হাজারো মানুষ রামগঞ্জ উপজেলায় যাতায়াত করে। অথচ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে রায়পুর-পানপাড়া-রামগঞ্জ সড়কের পানপাড়া অংশ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। এখন এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা শিকার হতে হয় তাদের। এছাড়া সড়কটির পাশে রায়পুর সরকারি ডিগ্রী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও। 

এদিকে, কয়েকজন চালক জানান, এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। তাছাড়া সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে যানবাহন। যখন গাড়ি হেলিয়া দুলিয়া চলে তখন ‘এ পড়ে গেলাম, অ্যাক্সিডেন্ট হবে-ড্রাইভার সাবধান’ বলে যাত্রীরা চিৎকার দিয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গাড়ির মালিকরা। এতে মালিকরাও আগ্রহ হারাচ্ছেন গাড়ি চালনায়।

সড়কটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করে লক্ষ্মীপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম রশিদ আহম্মেদ জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে। এতে করে জনগণের ভোগান্তিও কমবে। 
তবে সড়কটি সংস্কার কাজের টেন্ডারের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু করতে কার্যকর উদ্যোগ নিবেন, এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

কেএসটি

আরও সংবাদ