শেবাচিমের আইসিইউ অচল ও চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৫:৩৭ পিএম শেবাচিমের আইসিইউ অচল ও চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ভেন্টিলেটর মেশিন (কৃত্রিম উপায়ে শ্বাসপ্রশ্বাস দেয়ার যন্ত্র) বিকল থাকার চিকিৎসা না পেয়ে নবীন চিকিৎসক মারুফ হোসেন নয়নের মৃত্যুর অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গঠিত চার সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জসীম উদ্দিন হাওলাদারকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন- অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম, মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইমরুল কায়েস ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাশরেফুল ইসলাম সৈকত। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শুরু হবে। ডা. মারুফ হোসেন নয়নের মৃত্যুতে কোন গাফিলতি ছিল কিনা এবং কিভাবে আইসিইউ’র ভেন্টিলেটর যন্ত্র বিকল হলো, এ ক্ষেত্রে কারো কোন গাফেলতি রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন তারা।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই সালে শেবাচিম হাসপাতালের পূর্ব দিকে ১০টি ভেন্টিলেশন মেশিন নিয়ে চালু হয়েছিল আইসিইউ। কিন্তু মাত্র দু’বছরের মাথায় ৯টি ভেন্টিলেটর মেশিন বিকল হয়ে যায়। অবশিষ্ট থাকা অপর ভেন্টিলেটরটাও বিকল হয়ে যায় গত ১১ ডিসেম্বর সকালে। যে বিষয়টি অবগত ছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ১০ ডিসেম্বর শেবামেকের প্রাক্তন ছাত্র ও ডায়াবেটিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফ হোসেন নয়ন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে ওইদিনই তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর দিন অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর তার অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করেন।

মৃত ডা. নয়নের স্বজনদের অভিযোগ তাকে দ্রুত আইসিইউতে নেয়া হলেও সবকটি ভেন্টিলেটর বিকল থাকায় শেষ পর্যন্ত তাকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাসপ্রশ্বাস দেয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসক। পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ঢাকায় নেয়ার উদ্দেশ্যে ওয়ার্ড থেকে হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে নেয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে দাবি মৃত ডা. নয়নের বাবা মো. মোশারেফ হোসেনের।

এদিকে, নয়নের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের সকল পর্যায়ের চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিন্দার ঝড় ওঠে। যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে নয়নের মৃত্যুর জন্য পরিচালককে দায়ি করেন তারা। যা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে পড়েন পরিচালক। তাই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে দেন পরিচালক।

কেএসটি

আরও সংবাদ