প্রবাসী ভোটার কার্যক্রম

সৌদি-দুবাইয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করবেন সিইসি

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০১৯, ১০:১৮ এএম সৌদি-দুবাইয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করবেন সিইসি
সিইসি কেএম নূরুল হুদা -ফাইল ছবি

সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্যের পর এবার সৌদি আরব ও দুবাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করে সে দেশেই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহ করতে সম্ভাব্যতা যাচাই করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা নিজেই দেশ দুটিতে এ সংক্রান্ত বৈঠকে করবেন। ইসি সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসি সূত্র জানায়, আগামী ২০ আগস্টের দিকে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ও সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন সিইসি। আর আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে একই ধরনের সভা করবেন তিনি। এ দুই বৈঠকের আলোকেই পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশে এনআইডি সরবরাহের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তাতে সিঙ্গাপুরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। সেখানে প্রবাসী কম। তাই সেখানেই শিগগিরই পাইলটিং করা হবে। যুক্তরাজ্যেও সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। বর্তমানে কর্মপন্থা ঠিক করার কাজ চলছে।

জানতে চাইলে ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, পুরো কর্মপন্থাটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের একটি করে লোকাল সার্ভার স্থাপন করা হবে। সেই সার্ভারের অধীনে কয়েকটি টেম্পরারি সার্ভার স্থাপন করা হবে। লোকাল সার্ভারের সঙ্গে টেম্পরারি সার্ভারের সংযোগ থাকবে। আর টেম্পরারি সার্ভারের মাধ্যমেই নাগরিকদের তথ্য ইনপুট দেয়া হবে। এভাবে বিদেশ থেকে ভোটার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তির তথ্য দেশে এনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলায় পাঠানো হবে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন পাঠাবেন। প্রতিবেদনে সত্যতা মিললে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট দেশেই দূতাবাসের মাধ্যমে এনআইডি সরবরাহ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে দেশের উচ্চ আদালত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সংবিধান স্বীকৃত বলে ঘোষণা দেয়। এরপর ২০০৮ সালে প্রথমবারের মত ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে ড. এটিএম শামসুল হুদার কমিশন। পাশাপাশি ড. হুদা কমিশন প্রবাসীদেরও ভোটার করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর অংশ হিসেবে তখন দুই নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বিদেশ সফর করেন। এরপর কেটে যায় আরও ১০ বছর। পরে গত বছর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগটি পুনরায় সামনে আনেন। এরই অংশ হিসেবে ওই বছরই একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে ইসি। এরপর কয়েক দফায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দূতাবাসের সঙ্গে বৈঠক করে সিঙ্গাপুরকেই প্রথম হিসেবে বেছে নেয় ইসি।

 

এইচএস/একেএস

আরও সংবাদ