দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হলে তা হবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে: রাজনাথ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৬:৪৩ পিএম দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হলে তা হবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে: রাজনাথ

ভারত অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের বিশেষ অধিকার প্রত্যাহারের ইস্যুতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব। শুরু থেকেই নিজেদের আভ্যন্তরীন ইস্যুটিতে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ এবং সামরিক হুমকির পরেও নিরব থাকে ভারত। অবশেষে দেশটির পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দিলেন প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

রোববার (১৮ আগস্ট) বিধান সভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির হরিয়ানা রাজ্যে আয়োজিত এক জনসভায় রাজনাথ বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে এখন আর কোনো দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে না, আলোচনা হলে হতে পারে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।'

এ বিষয়ে রাজনাথ সিং ভারতের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, আলোচনা শুরুর আগে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়া বন্ধ করতে হবে ইসলামাবাদকে। একদিন আগেই তিনি পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে মন্তব্য করেন, যা নিয়ে এরইমধ্যে মোদী সরকারকে বেকায়দায় পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের প্রতিবেশী, আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করছে, তারা বলছে ভারত ভুল করেছে'। এছাড়া রাজনাথ দাবি করেন, পাকিস্তানের অনুরোধেই বন্ধু রাষ্ট্র চীনের তরফ থেকে জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘের প্রতি আবেদন করা হয়।

যদিও ৫টি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্যের সেই বৈঠক কোনো প্রস্তাবনা ছাড়াই শেষ হয়। বেশিরভাগ দেশই সহমত পোষণ করে যে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করা এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দিয়ে দুটো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তাদের তরফে আরও বলা হয়, আলোচনার পর, কোনো ফলাফল বা বিবৃতি দেওয়া হবে না এবং তাদের তরফে চিন এবং পাকিস্তানকে তাদের নিজেদের ক্ষমতায় বিবৃতি দেওয়ানো হয়।

রোববার রাজনাথ বলেন, সরকারের কাশ্মীর পদক্ষেপ কোনো নির্বাচনকে সামনে রেখে করা হয়নি। ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের তরফে রাজনাথ সিংকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, 'মানুষ বলেন, ৩৭০ ধারা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ দেশকে ভাগ করবে। আমাদের বলা হয়েছিল, তারপরে আর ক্ষমতায় ফিরবে না বিজেপি। আমি আপনাদের বলতে চাই, ভোটব্যাংকের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় বিজেপি। জাতীয় অখণ্ডতার সঙ্গে যুক্ত রাজনীতির ওপরে আমরা জোর দিতে চাই।

আরও সংবাদ