অবশেষে আদালতের হস্তক্ষেপে, শর্তারোপ ছাড়াই দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। দেশের ফেরার জন্য সময় পাবেন সর্বোচ্চ চার সপ্তাহ।
রোববার (১৭ নভেম্ববর) পাক বার্তা সংস্থা দ্য ডন প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মতে, বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ তালিকা থেকে তার নাম প্রত্যাহারে, শনিবার ইসলামাবাদকে নির্দেশ দেন লাহোরের উচ্চ আদালত। এজন্য আদালতের নির্দেশে নওয়াজকে নির্দিষ্ট সময়ে দেশে ফেরানোর দায় বর্তাবে ভাই শাহবাজ শরিফের ওপর।
দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৬৯ বছর বয়সী নওয়াজ, অসুস্থতার কারণে গেলো মাসে জামিন পান। উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার কথা তার। কিন্তু দেশে ফেরার নিশ্চয়তা হিসেবে তাকে ৭শ’ কোটি রুপির বন্ড জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, লন্ডনে প্রাথমিক চিকিৎসা নেবেন নওয়াজ; তারপর পরবর্তী চিকিৎসা হবে যুক্তরাষ্ট্রে।
এর আগে ডন জানায় পাকিস্তানের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী ৬৯ বছর বয়সী শরীফ হৃদরোগ সংশ্লিষ্ট জটিলতায় ভুগছেন, এছাড়াও তার কিডনির সমস্যা রয়েছে। এসবের চিকিৎসার জন্যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চলতি মাসেই তার আরেকটি জামিন আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এই সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
দুর্নীতি ও সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে শরীফের ১৯৯২ ও ১৯৯৯ মেয়াদের সরকারকে বাতিল করা হয়। তার ছোট ভাই এবং দেশের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও হাউজিং দুর্নীতির অভিযোগে আনা একটি মামলায় বিচারাধীন রয়েছেন। শেহবাজের পুত্র ও পাঞ্জাবের বিরোধী দলীয় নেতা হামজা শেহবাজও একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্তের মুখে আছেন।
এসকে
