গ্রামীণফোনকে নতুন করে চিঠি দিতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০১৯, ০৮:৩৩ এএম গ্রামীণফোনকে নতুন করে চিঠি দিতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশ

গ্রামীণফোনকে করা জরিমানার ৩০ কোটি টাকা চেয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দেয়া ৩টি চিঠি বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত আদেশে বিটিআরসি আইনের ৬৩ ও ৬৫ ধারা অনুযায়ী ৪ মাসের মধ্যে নতুন করে গ্রামীণফোনকে চিঠি দিতে বলা হয়েছে। ‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দানের জন্য এই জরিমানা করা হয়েছিল।

বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (২৫ আগস্ট) এই আদেশ দেন। 

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী। আর বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী 
খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণফোনের পক্ষে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে  আদালত এই আদেশ দেন। 

রায়ের পর ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণফোন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের বিটিআরসি অনুমোদন ছাড়াই এনটিটিএন সার্ভিস চালু রাখে, যা আইনসিদ্ধ নয় বলে রায় দিয়েছেন আদালত। এ সার্ভিস চালুর মাধ্যমে রাষ্ট্রের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে -তা অডিটর জেনারেলের মাধ্যমে নিরূপণের জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাকে অবৈধ ঘোষণার কারণ হিসেবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী কোনো মোবাইলফোন অপারেটর সরাসরি তাদের অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে এ ধরনের ‘লাস্ট মাইল কানেকটিভিটি’ সেবা দিতে পারে না। লাস্ট মাইল কানেকটিভিটি হলো- অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সর্বশেষ পর্যায়ের সংযোগ।

কিন্তু গ্রামীণফোন ‘গো’ ব্রডব্যান্ড সেবার নামে সোনালী ব্যাংককে সরাসরি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে -এমন অভিযোগ তোলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসির কাছে তারা লিখিত অভিযোগ দেয়।

অবৈধ সেবা দেয়ার কারণ জানতে ওই বছরের মার্চের শেষ দিকে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিটিআরসি। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় গ্রামীণফোনকে জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর ৩০ কোটি টাকা জরিমানা করে তা পরিশোধ করতে ওই বছরের ৬ ও ২৯ নভেম্বর এবং ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি পৃথক ৩টি চিঠি দেয় বিটিআরসি। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে রিট আবেদন করে গ্রামীণফোন। এ রিট আবেদনে ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং ৩টি চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেন। সেই রুলের ওপর রোববার (২৫ আগস্ট) রায় দেয়া হল।

এমএ / একেএস
    

 

আরও সংবাদ