লঞ্চ চলাচলের জটিলতা কেটে গেছে

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০১৯, ০৬:৩৪ পিএম লঞ্চ চলাচলের জটিলতা কেটে গেছে

লঞ্চ মালিকপক্ষের অঘোষিত ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় দেশের দক্ষিণ জনপদের জেলাগুলোর সঙ্গে ঢাকার লঞ্চ চলাচলের জটিলতা কেটেছে। আসন্ন কোরবানির ঈদ, দেশের অনেক জায়গায় বন্যা চলছে। সবকিছু বিবেচনা করে লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে লঞ্চ মালিক সমিতির অফিসে, মালিক-সরকার ও শ্রমিকপক্ষের সভা শেষে লঞ্চ চালানোর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

শ্রমিকদের ১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে বুধবার (২৪ জুলাই) দিনভর সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রত্যেক শ্রমিককে মালিকের পক্ষ থেকে পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র ও সার্ভিস বুক, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য জীবন বিমা, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রভিডেন্ট ফান্ড, খোরাকি ভাতা, কর্মকালীন মৃত্যু হলে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, সমুদ্র ভাতা, মাস্টার ড্রাইভারদের ইনচার্জ ভাতার দাবি অন্যতম। তবে এই দাবিতে মালিকরা বেঁকে বসায় লঞ্চ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে বরিশালগামী গ্রিনলাইন ছাড়া আর কোনও লঞ্চ ছেড়ে যায়নি বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ-এর যুগ্ম-পরিচালক আলমগীর কবির।

এম ভি অভিযান লঞ্চের মালিক হামজালাল বলেন, আমরা কোনও ধর্মঘটের ডাক দেইনি। লঞ্চের মালিক আমরা কিন্তু তারা (শ্রমিকরা) নিজেদের ইচ্ছামত লঞ্চ পন্টুনে ভেড়ায়, আবার নিয়ে যায়। আমাদের না জানিয়ে বুধবার লঞ্চ চালানো বন্ধ করে দিল। আবার বিকালে এসে বলল লঞ্চ চালাবে। এভাবে তো চলতে দেয়া যায় না। ২০১৬ সালে শ্রমিকদের বেতন কাঠামোর গেজেট জারি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তী গেজেট হবে ২০২১ সালে। এর মধ্যে গত দেড় বছরে তারা বিভিন্ন ইস্যু ধরে কয়েকবার ধর্মঘট ডেকেছে, তাতে আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে।

দিনের বেশিরভাগ সময় লঞ্চ চালানো বন্ধ রেখে বিকালে পল্টনে লঞ্চ মালিক সমিতির অফিসে সরকার ও শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মালিকপক্ষের নেতারা। বৈঠক শেষে সাইদুর রহমান রিন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, শ্রমিকদের বারবার অহেতুক ধর্মঘট ডাকার বিষয়টি সরকারকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করেছি।

টিএইচ/এসএমএম

আরও সংবাদ