‘গণশপথে’ মাঠের আন্দোলন শেষ হলেও বন্ধ থাকবে ক্লাস-পরীক্ষা

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ০৬:১৮ পিএম ‘গণশপথে’ মাঠের আন্দোলন শেষ হলেও বন্ধ থাকবে ক্লাস-পরীক্ষা
বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা - ফাইল ছবি

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ‘গণশপথ’ এর মাধ্যমে আগামীকাল বুধবার বুয়েট শিক্ষার্থীদের মাঠপর্যায়ের আন্দোলন শেষ হচ্ছে। তবে আবরার ফাহাদের খুনিরা বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে বুয়েট শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বুধবার বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক ‘গণশপথে’ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দেয়ার বিষয়ে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন। আর এর মধ্য দিয়েই তাদের মাঠের আন্দোলনের ‘আপাতত’ ইতি টানা হবে।

তিনি আরও বলেন, খুব স্পষ্টভাবে আমরা বলতে চাই, মাঠপর্যায়ে যে আন্দোলন, তার আপাতত ইতি টানলেও আমরা অবশ্যই সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকব, আমাদের দাবি-দাওয়াগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন প্রশাসন নিশ্চিত করছে কি না। এবং ফাইনালি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা (আবরার হত্যা মামলার) চার্জশিট দাখিলের পর সেটার ভিত্তিতে অপরাধীদের অ্যাকাডেমিকভাবে স্থায়ী বহিষ্কার হওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো রকম অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবে না। 

তিনি বলেন, বুয়েটের এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গোষ্ঠী অপপ্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল। আমরা তাদের এ অপচেষ্টা সফল হতে দিতে চাই না। এ কারণে মাঠের আন্দোলনে ইতি টানার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির ৩টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পর্কিত। অভিযুক্তদের প্রায় সবাই এরইমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। কয়েকজন স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পুলিশ কয়েকজনকে রিমান্ডে নিয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দেয়ার কাজ সঠিক পথে থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বুয়েট প্রশাসন এরইমধ্যে অভিযুক্ত ছাত্রদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। হল থেকে অবৈধদের উৎখাত করেছে। হলে হলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। নির্যাতিতদের অভিযোগ জানানোর জন্য বুয়েটের ওয়েবসাইটে সুযোগ রাখা হয়েছে। ফাহাদ হত্যার চার্জশিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ছাত্রদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা বুয়েট প্রশাসনের পদক্ষেপে আস্থা রাখছে। একইসঙ্গে আন্দোলনের ৭ম দিনে এসে আন্দোলনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

এইচএস/ এফসি

আরও সংবাদ