নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংস্কারের দাবিতে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। গত ৪ দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে অঘোষিত এ পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হলেও রাজধানীতে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী মানুষরা। সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মানুষকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন দূরের যাত্রীরা।
মিরপুর-মতিঝিল, মোহাম্মদপুর-সায়েদাবাদ, উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচলকারী নিয়মিত বাসগুলো তেমন একটা দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রোকেয়া সরণি, প্রগতি সরণি, এয়ারপোর্ট রোড, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে কিছু গাড়ি চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ছিল ফাঁকা। নামমাত্র বাস চলাচল করছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে অফিস থেকে ফেরা ঘরমুখো মানুষের।
গাজীপুর থেকে মিরপুর আগত ইসমাইল নামে এক চাকরিজীবী বলেন, সকালে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর একটা বাস পাই। এতে করে বেড়িবাঁধ পৌঁছায়। সেখান থেকে ২০০ টাকা দিয়ে অন্য বাসে মিরপুর মাজার রোড অফিসে পৌঁছায়। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
আবদুল্লাহ পুর থেকে মিরপুর ১০ নম্বরে আসেন কবির নামে এক ব্যাক্তি। তিনি জানান, আবদুল্লাহপুর থেকে সরাসরি কোনো বাস আসেনি। কয়েক দফা গাড়ি পরিবর্তন করে এখানে আসতে হয়েছে।
পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার মতো কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সকালে কিছু গাড়ি বের করা হয়েছিল বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য কিন্তু খবর পেয়েছি ট্রাক শ্রমিকদের জন্য গাড়ি চালানো যাচ্ছে না।’
এইচএম/একেএস