আসন পূর্ণ করে চলছে ট্রেন

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০, ১২:৪২ এএম আসন পূর্ণ করে চলছে ট্রেন
সংগৃহীত ছবি

সীমিত পরিসরে চালুর সাড়ে চার মাস পর সব আসনে যাত্রী নিয়ে চলতে শুরু করেছে ট্রেন।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে ‘যত আসন তত যাত্রী’ নিয়ে ট্রেন চলছে। এতে যাত্রী বেড়েছে। বেড়েছে ভিড়ও। তবে স্ট্যান্ডিং টিকিট বন্ধ থাকায় ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা হচ্ছে না, উপচেপড়া ভিড়ও নেই।

কমলাপুর স্টেশনে দেখা গেছে, আগের তুলনায় যাত্রী বেড়েছে। কাউন্টারেও টিকিটের ভিড় বেড়েছে। তবে বুকিং ক্লার্করা জানালেন, এদিন সব ট্রেনের শতভাগ টিকিট বিক্রি হয়নি। অনেক ট্রেনেই আসন ফাঁকা ছিল। তবে অধিকাংশ ট্রেনের বৃহস্পতি ও শনিবারের শতভাগ টিকিট বিক্রি হয়েছে।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে ২৪ মার্চ ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। ৬৮ দিন পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালু হয়। সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় ট্রেনে অর্ধেক আসন খালি রাখা হয়। ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে এতদিন ট্রেন চলছিল। কাউন্টারে টিকিট দেওয়া বন্ধ রেখে সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছিল। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। বুধবার থেকে অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্ত তুলে নিয়ে স্বাভাবিক সময়ের মতো চলতে শুরু করেছে ট্রেন। আগের মতোই অর্ধেক টিকিট অনলাইনে বাকিটা কাউন্টারে বিক্রি হচ্ছে।

সব আসন পূর্ণ করে যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্তে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেক যাত্রীই বলছেন, করোনা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় তাই আরও কিছুদিন অর্ধেক যাত্রী নেয়া উচিত ছিল। আবার অনেকেই বলছেন, বাসসহ সব গণপরিবহনেই যখন আসন পূর্ণ করে যাত্রী নেয়া হচ্ছে, সব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে, তখন ট্রেন অর্ধেক খালি রেখে লাভ কী।

 

সব আসনে যাত্রী নেয়ায় আগের চার দিনের তুলনায় বুধবার কাউন্টারে ভিড় বেড়েছে। একসঙ্গে চার-পাঁচজন কাউন্টারের কাচের সামনে তথ্য জানতে জটলা করছে। তিন ফুট দূরত্ব রেখে টিকিটের লাইন করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। তবে প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনে কিছুটা কড়াকড়ি রয়েছে।

দুপুরে ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটের মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দেখা যায়, যাত্রীরা পাশাপাশি বসলেও প্রায় সবারই মাস্ক ছিল। মাস্ক ছাড়া প্ল্যাটফর্মে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যাত্রার আগে-পরে ট্রেন জীবাণুমুক্ত করা হয়।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেছেন, সব আসনে যাত্রী নেয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধির অন্যান্য শর্ত মানতে জোর দেয়া হচ্ছে। টিকিট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

কেএপি

আরও সংবাদ