নানা কৌশলে গ্রাম-শহরমুখী মানুষের ঢল

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২১, ১০:৪০ এএম নানা কৌশলে গ্রাম-শহরমুখী মানুষের ঢল
সংগৃহীত ছবি

‘২৮ জুন থেকে কঠোর লকডাউন শুরু’— শুক্রবার (২৬ জুন) সরকারের এমন ঘোষণায় রাজধানী ছাড়তে শুরু করে মানুষ। তবে শনিবার (২৭ জুন) রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে ব্যাংকের জুন ক্লোজিং ও আগামী অর্থবছরের বাজেট পাস; এই দুই কারণে সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আসে।

নতুন এই সিদ্ধান্ত জনসাধারণের কাছে না পৌঁছায় শনিবার (২৭ জুন) রাতেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছে। রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে দেখা গেছে গ্রামমুখী মানুষের ঢল। 

গণপরিবহন না চলায় নানা উপায়ে রাজধানী ছাড়ছেন তারা।

গার্মেন্টসহ শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক, পোর্ট, কাস্টমস কার্যক্রমসমূহও লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।

সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হলেও আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হবে সাত দিনের কঠোর লকডাউন। শনিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ, অটোরিকশায় গাদাগাদি করে লাখো মানুষ রাজধানী ছাড়ছে। রাজধানীর গাবতলী ও আবদুল্লাহপুর এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে। হাজার টাকায়ও মোটরসাইকেলে গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটে যাচ্ছে যাত্রী। 

গত বছরের মার্চে প্রথম দফায় লকডাউনে কলকারখানা বন্ধ ঘোষণার পর যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, এবারও তাই হবে। কোনোভাবেই এ ঢল ঠেকানো যাবে না।

শনিবার (২৬ জুন) দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, মাওয়া ঘাট ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীর ঢল নামে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দূরের কথা, স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কাই করেনি যাত্রীরা।

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং ডেল্টা বা ভারতীয় ধরনের বিস্তার ঠেকাতে রাজধানী ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে গত মঙ্গলবার থেকে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ রয়েছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রাজধানীর চারপাশের সাত জেলায় গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রথম দিনে কড়াকড়ি থাকলেও পরবর্তী দিন থেকেই ঢিলেঢালা হয়ে যায় লকডাউন। প্রায় বিনা বাধায় ঢাকায় প্রবেশ ও বের হতে পারছে বাস ছাড়া সব ধরনের যানবাহন।

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন,  বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীরা গাদাগাদি করে যাচ্ছেন। এতে করোনার ঝুঁকি বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালু থাকলে ঝুঁকি বরং কমত।

জাগরণ/এমএ

আরও সংবাদ