কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশের ব্যাখ্যায় দ্বি-মত বাম ঐক্যজোটের

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৯, ০৪:২৪ পিএম কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশের ব্যাখ্যায় দ্বি-মত বাম ঐক্যজোটের

কাশ্মীর ইস্যুটিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে আখ্যা দিয়েছেন সে বিষয়ে দ্বি-মত প্রকাশ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ।

সিপিবি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে অনুষ্ঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভায় নেতৃবৃন্দ এ অভিমত ব্যক্ত করেন। 

তারা বলেছেন, এটি দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত একটি বিষয়। কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। এতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহের এ অঞ্চলে হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়াও ভারতের বিজিপি সরকারের হাত ধরে ইসরাইলিদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির বিষয়েও নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ জানান।

সভায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ আলোচ্য বিষয় না করা এবং ভারতের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে ভারতকে স্বস্তি প্রদান করার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে ভারতের গড়িমসি এবং দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি বণ্টনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন ফর্মুলার কথায় নেতৃবৃন্দ হতাশা প্রকাশ করেন। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, একতরফা ফেনী নদী থেকে পানি নেয়ার বিষয়টি ভারত আলোচনায় আনার চেষ্টা করছে। সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তির বিষয়টি দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় যথোপযুক্তভাবে তুলে ধরার ব্যর্থতায় ক্ষোভ জানানো হয়।

এর পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকে (এনআরসি) বাংলাদেশের জন্য আশঙ্কাজনক আখ্যা দেন। তারা ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার বিষয়ে বিষদগারের সমালোচনা করেন। এছাড়া প্রতিনিয়ত সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের দুর্বল মনোভাবের সমালোচনা করেন। ভারতীয় ৫০ কোটি ডলার ঋণে ভারত থেকে অস্ত্র ক্রয়ের আহ্বানেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ। তারা দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচ্য বিষয়সমূহ জনসম্মুখে প্রকাশ করার আহ্বানও জানান।

এছাড়া সভায় গত ঈদে চামড়ার দাম নিয়ে চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের তৎপরতা ও সরকারে নিস্পৃহতা এবং ডেঙ্গু মহামারি দমনে সরকার ও সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

জোট সমন্বয়ক ও ইউসিএলবির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মানস নন্দী, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, সিপিবির কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান ও গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূঁইয়া।


টিএস/ একেএস

আরও সংবাদ