• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০১৯, ০৮:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৩, ২০১৯, ০৮:০৬ পিএম

কাশ্মীর ইস্যুতে সরকারকে আরও সময় নিতে বললেন আদালত

কাশ্মীর ইস্যুতে সরকারকে আরও সময় নিতে বললেন আদালত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত সাম্প্রতিক ইস্যুটিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল উল্লেখ করে এ বিষয়ে সরকারের আরো সময় নেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। 

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) আদালতের বরাত দিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ অঞ্চল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে, একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের করা পিটিশনের জবাবে এ মন্তব্য করেন ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট। এনডিটিভি

বিচারকের করা মন্তব্যের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, 'আমরা সব সময়ই একটি স্বাভাবিক অবস্থা প্রত্যাশা করি। যদিও এক রাতের মধ্যেই সব কাজ করা সম্ভব নয়। কেউ জানে না আগামীতে ঠিক কী হবে। এখন সরকারের ওপরও কাউকে না কাউকে নির্ভর করতেই হবে। আর এটা (কাশ্মীর) খুবই সংবেদনশীল একটি ইস্যু। তাই সরকারেরও একটু সময় নেয়া উচিত।'

ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও রাজ্যটিকে দুইভাগে বিভক্ত করে পার্লামেন্টে একটি বিল পাস করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। পরে গত শনিবার (১০ আগস্ট) সেই বিলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করা হয় কাশ্মীরের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের।

মূলত আজ (মঙ্গলবার) সেই পিটিশন দাখিলের তিনদিন পর সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আদালত সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান। যদিও শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিচারকবৃন্দ দুই সপ্তাহ পর এ রিটের পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। একই সঙ্গে গত ৫ আগস্টের পর কাশ্মীরে যেসব আঞ্চলিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল; এই শুনানিতে তাদেরও মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১০ আগস্ট ন্যাশনাল কনফারেন্সের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা পিটিশনে বলা হয়, 'সংবিধানের ৩৭০ (১) (ঘ) অনুচ্ছেদে জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধানকে পাইকারিভাবে পুনস্থাপিত করার কোনো ক্ষমতা দেয়া হয়নি।' যে কারণে সুপ্রিম কোর্টকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

আদালতে উপস্থাপিত এই পিটিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, রাজ্যের মানুষ এবং তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের (কাশ্মীরের বিধানসভা) সঙ্গে আলোচনা ও কোনো ধরনের সম্মতি না নিয়েই অঞ্চলটির দীর্ঘ দিনের বিশেষ মর্যাদা একতরফাভাবে রদ করা হয়েছে। মূলত যার মাধ্যমে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং স্বাধীনতাকে সামান্যতম মূল্যায়ন করা হয়নি; যা কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়।

এর আগে গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। পরবর্তীতে কেন্দ্রশাসিত পৃথক অঞ্চল হিসেবে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।

এসকে

আরও পড়ুন