• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৮:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৯:১৬ পিএম

যুবলীগ নেতা খালেদ ৭ দিনের রিমান্ড

যুবলীগ নেতা খালেদ ৭ দিনের রিমান্ড
কড়া প্রহরায় আদালতে যুবলীগ নেতা খালেদ -ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে খালেদকে অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক মাহমুদা আক্তার ও শাহিনূর রহমান এ আদেশ দেন।

খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব। এছাড়া মতিঝিলি থানায় মাদক আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র ও মাদকের মামলায় খালেদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

আদালতে খালেদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মো. আয়ুবুর রহমান মানিক, হাসানসহ কয়েকজন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন রাকিবুল।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মাহমুদা আক্তার অস্ত্র আইনের মামলায় খালেদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে মাদক আইনের মামলায় খালেদের আরও ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক শাহিনূর রহমান।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাকে গুলশানস্থ বাসভবন থেকে আটক করে র‌্যাব। খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তিনটি মামলা দায়ের করেন। মতিঝিলি থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন র‌্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার চাইলা প্রু মার্মা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বরা) সন্ধ্যায় গুলশান থানা থেকে কড়া পাহারায় তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) নেয়া হয়।

বুধবার রাতে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের সময় অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায়। এ ছাড়া তার ক্যাসিনো থেকে নারী, মদসহ নিষিদ্ধ বস্তু উদ্ধার করে র‌্যাব। বুধবার রাতে দীর্ঘ অভিযান শেষে গুলশানের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, মাদক উদ্ধার করা হয়।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত র‌্যাব-৩ এর হেফাজতে ছিলেন খালেদ।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ চক্রবর্তী জানান, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গুলশান থানায় হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে আলাদা ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গুলশান বিভাগের ডিসি জানান, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি শটগান, দু’টি পিস্তল, শটগানের ৫৭ রাউন্ড গুলি ও ৭.৬৫ এমএম-এর ৫৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এছাড়াও ৫৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১০ লাখেরও বেশি দেশি নগদ টাকা ও ৭ লাখের বেশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়ে গেছে।

সুদীপ চক্রবর্তী জানান, মানিলন্ডারিং আইনে করা মামলাটি শিডিউল অনুযায়ী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করবে। তাদের কাছে ওই মামলার কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয়া হবে।

আরএম/এসএমএম