• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২১, ০৪:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৭, ২০২১, ০১:১৬ পিএম

কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে ডেনমার্ক

কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে ডেনমার্ক

ডেনমার্কে নির্মাণ হচ্ছে বিশালাকৃতির এক কৃত্রিম দ্বীপ। দ্বীপটির নামকরণ করা হয়েছে লিনেটেহোলম।  যেখানে থাকবেন ৩৫ হাজার মানুষ। কোপেনহেগেন বন্দরকে সমুদ্রের ছোবল থেকে রক্ষা করতেই এই পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে ড্যানিশ সরকার।

বিবিসি জানায়, লিনেটেহোলম নামে বিশালাকারের এই দ্বীপ ডেনমার্কের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। সড়কপথে, টানেল এবং মেট্রো লাইন স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে মূল ভূখণ্ড থেকে সাধারণ মানুষরা সহজেই দ্বীপটিতে যেতে পারবেন।

ডেনমার্কের পার্লামেন্ট জানায়, এই বছরের শেষের দিকেই ১ বর্গমাইল (২.৬ বর্গকিলোমিটার) দীর্ঘ দ্বীপটির কাজ শুরু হবে।

তবে পরিবেশবাদীরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তারা বলছেন, এটি নির্মাণে পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়বে, যা উদ্বেগের কারণ হবে।

ডেনমার্কের পার্লামেন্ট জানায়, লিনেটেহোলম নির্মাণের পরিকল্পনাগুলো সাজানো হয়েছে সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান স্তর এবং ঝড়ের তীব্রতার কথা মাথায় রেখেই। বন্দরকে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যেই এর চারপাশে বাঁধও নির্মাণ করা হবে।

পরিকল্পনা অনুসারে নির্মাণকাজ এগিয়ে গেলে এই দ্বীপের কাজ ২০৩৫ সালের মধ্যেই সম্পূর্ণরূপে শেষ হবে।

এদিকে বিশাল আকৃতির লিনেটেহোলম দ্বীপটি নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন দেশটির পরিবেশবিদরা। ইউরোপীয় বিচারিক আদালতের একটি মামলাও করা হয়েছে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, কোপেনহেগেনের দিয়ে দিনে প্রায় ৩৫০টি লরি বা ট্রাক নির্মাণসামগ্রী নিয়ে চলাচল শুরু করবে। কাঁচামাল সরবরাহ করার এই প্রক্রিয়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

স্থানীয় গণমাধ্যম ডিআর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৪০০ ফুট পিচের আকারের কৃত্রিম দ্বীপটি তৈরি করতে এই অঞ্চলে প্রায় ৮০ মিলিয়ন টন মাটি সরবরাহ করা প্রয়োজন।

ডেনমার্ক সরকারের এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা।

ডিআর-এর মতে, শুক্রবার (৪ জুন) সংসদে বিলটি পাসের পক্ষে ৮৫টি ভোট পড়ে। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১২টি। এরপরই সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয় বিলটি। তবে প্রতিবাদকারীরা কোপেনহেগেনে সংসদ ভবনের বাইরে জড়ো হয়।

কোপেনহেগেনের বিক্ষোভকারী ইভা লারসন বলেন, “প্রতিদিন নগরীর মধ্যে লরিগুলো চলাচল বাড়বে। এতে খুব চিন্তিত আমরা।”

আরেক প্রতিবাদকারী নিকোলাস উললহেড বলেছেন, “নভেম্বর মাসে স্থানীয় নির্বাচনের আগে লিনেটেহোলমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “এই প্রকল্পটি কোপেনহেগেনের ইতিহাসের বৃহত্তম প্রকল্পগুলোর একটি। নির্বাচনের আগে এটি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে”

এদিকে দেশটির সড়ক পরিবহন পণ্য (আইডিটি) সমিতির প্রধান ক্যারিনা ক্রিস্টেনসেন বলেন, “লিনেটেহোলম নির্মাণের জন্য উপকরণ সরবরাহে আরও ‘পরিবেশবান্ধব’ পরিবহনের বিকল্প রয়েছে, যা শব্দ কমাবে। পরিবেশ দূষণ বাঁচাবে। তবে এই বিষয়ে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।”