• ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২১, ১২:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৯, ২০২১, ০৮:১৪ পিএম

পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো তাজমহল

পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো তাজমহল

ভারতে করোনা মহামারির কারণে দিল্লি, মুম্বাইয়ে সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলে লকডাউন দেয় দেশটি। এতে বন্ধ ছিল দেশটির সব পর্যটন কেন্দ্র। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা প্রায় গৃহবন্দি সময় কাটাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে পর্যটকদের জন্য় সুখবর দিল দেশটি।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা কমে আসায় পর্যটকদের জন্য় খুলে দেওয়া হলো বিশ্বের অন্যতম নিদর্শন তাজমহল। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের তৈরি ১৭ শতকের প্রাচীন নিদর্শন এই তাজমহল।

জিনিউজ জানায়, বুধবার (১৬ জুন) থেকে তাজমহল খুলে দেওয়া হয়েছে। পিটিআই এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায়। তবে এর জন্য় পর্যটকদের  কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাজমহল প্রবেশেও থাকছে কিছু বিধিনিষেধ।

পিটিআই প্রতিবেদনে জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে তাজমহলে একবারে ৬৫০ জনের বেশি পর্যটক প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন না। সবাইকে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিও মানতে হবে।

শুধু তাজমহলই নয়, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা সব স্মারক ও পর্যটনস্থলই এই দিন খুলে দেওয়া হয়।

আগ্রার জেলা শাসক প্রভু এন সিং স্থানীয় সংবাদ সংস্থাকে জানান, তাজমহলে একবারে ৬৫০ জনকে ঢুকতে দেওয়া হবে, যাতে সব কোভিড প্রোটোকল মেনে চলা যায়।

এএসআইয়ের আগ্রা সার্কেলের সুপারিনটেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট বসন্ত কুমার স্বর্ণকার জানান, দিনে তিনবার স্যানিটাইজ করা হবে তাজমহল। পর্যটকদের মাস্ক পরা আবশ্যক। গেট গিয়ে প্রবেশের আগে পর্যটকদের স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি থার্মাল চেকিংও করা হবে।

বসন্ত কুমার স্বর্ণকার আরও জানান, তাজমহলের ভেতরে কোনো কিছু স্পর্শ করতে পারবেন না পর্যটকরা। একই সঙ্গে মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি। টিকিট কাউন্টার খুলবে না। তাই অনলাইনেই টিকিট বুকিং করতে হবে। পর্যটকদের নিজস্ব পানির বোতল ও স্যানিটাইজার নিয়ে আসতে হবে।

২০২০ সালের মার্চে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাজমহল। এরপর ওই বছর সেপ্টেম্বরে খুলে দেওয়া হয়। দেশটিতে চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানলে এপ্রিলে আবারও বন্ধ হয়ে যায় তাজমহল।

মোগল সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজের স্মরণে এই মহল নির্মাণ করা হয়। শাহজাহানের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন মমতাজ। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে ১৪তম সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে ১৬৩১ সালে মমতাজের মৃত্যু হয়। প্রিয় স্ত্রীর স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার উদ্দেশ্যে তার সমাধিকে ঘিরে সম্রাট শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেন। পৃথিবীজুড়ে তাজমহল ভালোবাসার একটি অপরূপ নিদর্শন হিসেবে চিহ্নিত।