• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২১, ০২:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৮, ২০২১, ০২:৫৮ পিএম

আকাশপথে সাঁতার, বিশ্বের প্রথম স্কাইপুল

আকাশপথে সাঁতার, বিশ্বের প্রথম স্কাইপুল

ছোট্টবেলায় রূপকথার গল্পে কতই না আকাশ পাড়ি দিয়েছি। জ্যোৎস্নার সমুদ্রে সাঁতার কেটে মেঘের দলকে ভেদ করেছি। জ্যোৎস্নার আলো গায়ে মাখিয়ে ভেসে বেড়িয়েছি। আহা, এমন রূপকথা গল্পগুলো যদি সত্যি হতো!

রূপকথার সেই গল্পই এখন বাস্তবিক রূপ পেয়েছে। বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আকাশপথে সাঁতার দেওয়ার পরিকল্পনাও এখন বাস্তব ঘটনা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবের রূপ পেয়েছে লন্ডনে। সেখানে তৈরি হয়েছে মাটির থেকে ৩৫ ফুট উঁচুতে এক স্যুইমিং পুল। যার নাম 'লন্ডনের স্কাইপুল'। স্বচ্ছ নীল পানিতে গা ভাসিয়ে সেখানে মনের আনন্দে হারিয়ে যাওয়া যায়।

লন্ডনের টেমস নদীর দক্ষিণ দিকে মার্কিন দূতাবাসের খুব কাছেই অবস্থিত স্কাইপুলটি। কাঁচের তৈরি এই সুইমিংপুল। ব্যবহার করা হয়েছে অতি উন্নতমানের প্রযুক্তি। এটি মাটি থেকে প্রায় ৩৫ মিটার উঁচু, প্রায় ২৫ মিটার দীর্ঘ। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন আকাশে ভাসছে পুরো পুলটি।আয়োজদের দাবি এটিই বিশ্বের প্রথম স্কাইপুল।

কাঁচের তৈরি এই সুইমিং পুলটিতে সবসময়ই পানি ভরপুর থাকে। সব বয়সীরাই সেখানে সাঁতরে নিতে পারেন। সাঁতার কাটার সময় মনে হবে যেন শূন্যে ভেসে আছেন। পূর্ণিমা রাতে সেখানের উপলব্ধিটা আরও সুন্দর। মনে হবে জ্যোৎস্নার সমুদ্রে সাঁতরে বেড়াচ্ছেন। পুলটি পুরোটাই স্বচ্ছ কাঁচের তৈরি। নিচ দিয়ে যেতে উপরের দিকে তাকালে পুলের মধ্যে সাঁতারুদের স্পষ্ট ভাসতে দেখা যাবে।

সম্প্রতি লন্ডনের এই স্কাই পুলের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বিবিসি। ভিডিওতে দেখা যায়, সুইমিং পুলে সাঁতার কাটছেন আর এর সৌন্দর্য উপলব্ধি করছেন। 

বিবিসি জানায়, বিশ্বের প্রথম স্কাইপুল এটি। শুধু অ্যাম্বাসি গার্ডেনের বাসিন্দাদের জন্য়ই উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ভিনদেশী পর্যটকরা পাচ্ছেন না সেই সুযোগ। তবে এই খবরে অনেকটাই হতাশ পর্যটকরা। আকাশের পানে পানিতে ভেসে বেড়ানোর স্বাদ তারাও নিতে চান। তাই ভবিষ্যতে এরকম আরও পুল তৈরি হবে এবং তা উন্মুক্ত থাকবে এমনটাই আশা করছেন পর্যটকরা।