• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩, ০১:২০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৬, ২০২৩, ০১:২০ এএম

মগবাজার বিস্ফোরণের সঙ্গে মিল পেয়েছে সিটিটিসি

মগবাজার বিস্ফোরণের সঙ্গে মিল পেয়েছে সিটিটিসি
ছবি ● সংগৃহীত

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকার তিন তলা একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই বছর আগে মগবাজারের একটি ভবনে ঘটা বিস্ফোরণের মিল খুঁজে পেয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।

রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে সায়েন্স ল্যাব এলাকার শিরিন ভবনের বিস্ফোরণস্থল দেখতে গিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল দলের প্রধান রহমত উল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে এমন কথা জানান। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সায়েন্স ল্যাব এলাকার ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া মগবাজারের বিস্ফোরণের মতো গ্যাস থেকে সৃষ্ট। ভবনটিতে কোনো না কোনোভাবে গ্যাস জমে ছিল।’ 

তিনি আরও যোগ করেন, জমে থাকা গ্যাসের ঘণমাত্রা যদি ৫-১১ মাত্রার হয় এবং এটা যদি ট্রিগার হয় তাহলে এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। এই ট্রিগার সুইচের মাধ্যমে, ফ্যানের সুইচ ও এসির সুইচের মাধ্যমেও হতে পারে। এটা গ্যাস থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ হতে পারে। আর এতো বড় বিস্ফোরণ গ্যাস থেকে সৃষ্টি হয়ে থাকে।

রহমত উল্লাহ বলেন, আমাদের নগরবাসীকে সচেতন থাকতে হবে, বৈদ্যুতিক সুইচ ও গ্যাসের চুলা জ্বালানোর আগে দরজা-জানালা খুলে যেন কক্ষ থেকে গ্যাস বিতাড়িত করা হয়। 

ভবনটিতে কীভাবে গ্যাস জমে ছিলো- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখানে যে কোনোভাবে গ্যাস জমা হয়ে থাকতে পারে। সেটা সুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমেও হতে পারে।

ওই ভবনে সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে আগুন ধরার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থলে পৌঁছে  বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন ১৪ জন। এর বাইরে পপুলার হাসপাতালে বেশ কয়েকজন ভর্তি রয়েছেন।

২০২১ সালের ২৭ জুন রাজধানীর মগবাজারের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১২ জনের। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠেছিল। বেশ কয়েকটি ভবনের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। রোববার সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণেও কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১৫ জন আহত। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।

জাগরণ/রাজধানী/এসএসকে