• ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৪, ১১:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২, ২০২৪, ১১:৫১ পিএম

বেইলি রোডে আগুন

ভবনের পদে পদে অনিয়ম

ভবনের পদে পদে অনিয়ম
ছবি ● সংগৃহীত

বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনের ছাদেও ছিল রেস্তোরাঁ। অ্যামব্রোশিয়া নামে রেস্টুরেন্টকে ছাদ ভাড়া দেয় ভবন মালিকরা। ভবনটিতে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে। এমন অসংখ্য অনিয়মের কারণে সেই দিন হতাহত বেশি হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগে গ্রিন কোজি কটেজের নিচতলায় চুমুক নামে দোকানে। মাত্র ১৫ দিন আগে চালু হওয়া দোকানটির মালিক শফিকুল ইসলাম লিমন ও আনোয়ারুল হক। আগুন লাগার পর বাজেনি কোনো ফায়ার অ্যালার্ম। তাই উপরে আটকে পড়া কেউই বের হতে পারেনি। 

আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ ভবনটি বানিয়ে বিক্রি করে দেয়। সাততলা পর্যন্ত আবাসিক ও অফিসের অনুমতি নেয়া হলেও ভাড়া দেয়া হয় রেস্তোরাঁ। ছাদেও বিশেষ কায়দায় ভাড়া দেয়া হয় অ্যামব্রোশিয়া নামের রেস্টুরেন্টকে। তাই আগুন লাগার পর অনেকেই সেখানে আশ্রয় নিতে পারেননি। 

পুলিশ বলছে, ভবন মালিকের গাফিলতি আর গ্যাস সংযোগের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য এতো প্রাণহানি ঘটেছে। ডিএমপির অতিরিক্ত আইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘গাফিলতিটা এমন এক পর্যায়ে যে, তা আগুন ধরিয়ে দেয়ার শামিল। এ ধরনের দাহ্য পদার্থ ও নিরাপত্তাহীনতা থাকলে আগুন লাগার আশঙ্কা বেশি।’  

বিশ্লেষকেরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশই মানছে না এমন প্রতিষ্ঠান। বিচারে দেরি হওয়ায় মামলা করেও সমাধান হয় না। ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক আবু নাঈম মোহাম্মদ শাহিদউল্লাহ বলেন, মামলার দীর্ঘসূত্রতা এত বেশি হয় যে, যে ইন্সপেক্টর আজকে মামলা করল সে ডিডি (ডেপুটি ডিরেক্টর) হয়ে অবসরে যাওয়ার পরও আদালতে এর কার্যক্রমে যেতে হয় তাকে।’  

ভবনটিতে মিলেছে প্লাস্টিক পাইপ সংযোগের রাইজার। তিতাস গ্যাসের চোরাই লাইন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭৫ জনকে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, পুরো ভবনে অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল। এমনকি সিঁড়িতেও মজুত ছিল সিলিন্ডার। ফলে ভবনটিতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ছিল। ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ বেশকিছু জনপ্রিয় পোশাকের দোকানও রয়েছে।

জাগরণ/রাজধানী/এসএসকে