• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০১৯, ০৯:১২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১২, ২০১৯, ০৯:১৪ পিএম

মা ডেকেও ধর্ষণ থেকে রক্ষা মেলেনি

মা ডেকেও ধর্ষণ থেকে রক্ষা মেলেনি
ধর্ষকচক্রের মূল হোতা উজ্জ্বল  -  ছবি : জাগরণ

ময়মনসিংহে নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক যুবতী। ধর্ষণের শিকার ওই যুবতী পার্শ্ববর্তী এক নারীকে মা ডেকেও রক্ষা পায়নি। ওই নারী যুবতীকে রক্ষা না করে উল্টো ধর্ষকদের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় ধর্ষকচক্রের মূল হোতা উজ্জ্বল ও হাছিনা আক্তারকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

কোতোয়ালি পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, সদরের অষ্টধার এলাকার এক যুবতী পার্শ্ববর্তী শেরপুর জেলার নকলার নারায়ণপুরে তার নানার বাড়ি থেকে বুধবার (১০ জুলাই) বিকালে বাড়ি ফিরছিল। সন্ধ্যায় অষ্টধার পান্ডাপাড়া এলাকায় আসামাত্র কাউনিয়া গ্রামের অজিত সর্দারের ছেলে বখাটে উজ্জ্বল তার পথরোধ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। উপায়ন্তর না পেয়ে ওই যুবতী নিজেকে রক্ষা করতে দৌড়ে স্থানীয় চৌকিদার ফুরকানের বাড়িতে ওঠে। এ সময় চৌকিদার ফুরকানের স্ত্রী হাছিনা আক্তারকে মা বলে ডেকে ধর্ষকদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে হাতে-পায়ে ধরে কাঁদতে থাকে। একজন নারী হয়ে হাছিনা আরেক যুবতীর সম্ভ্রম রক্ষায় কোনো উদ্যোগ না নিয়ে পাল্টা ওই যুবতীকে তার ভাগিনা হিমেলের হাতে তুলে দেন।

পুলিশ আরো জানায়, হিমেল পেছনের দরজা দিয়ে ওই যুবতীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। সম্ভ্রম হারানো ওই যুবতী এর পরও দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে আবারো উজ্জ্বল তার পথরোধ করে। এ সময় উজ্জ্বল, মনি ও হিমেল ওই যুবতীকে পার্শ্ববর্তী জনৈক হেলালের বসতবাড়ির রান্নাঘরে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। অসহায় ওই যুবতী পরদিন বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোরে কোনো রকমে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে এবং মা-বাবাসহ পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনা খুলে বলে। বৃহস্পতিবার ওই যুবতী তার মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যদের নিয়ে থানায় আসে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাৎক্ষণিক নির্যাতিতা যুবতীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এছাড়া ওসি মাহমুদুল ইসলাম ধর্ষকদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার শাকের আহমেদকে নির্দেশ দেন।

খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ওসি মাহমুদুল ইসলামের নির্দেশনায় অভিযোগ প্রাপ্তির ৬ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকচক্রের মূল হোতা উজ্জ্বল ও ধর্ষণে সহায়তা করার অপরাধে চৌকিদারের স্ত্রী হাছিনাকে গ্রেফতার করেন তিনি।

এ ব্যাপারে নির্যাতিতা যুবতীর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মুশফিকুর রহমান বলেন, পলাতক অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এনআই

আরও পড়ুন