• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৪:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৫:১৬ পিএম

দলবদ্ধ ধর্ষণ শেষে বাবাসহ হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

দলবদ্ধ ধর্ষণ শেষে বাবাসহ হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা ও তার বাবা ইলিয়াস চৌধুরী  -  ছবি : জাগরণ

খুলনায় দলবদ্ধ ধর্ষণ শেষে এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা ও তার বাবা ইলিয়াস চৌধুরীকে হত্যা মামলার রায়ে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামানের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদ আহমেদ এ কথা জানান। একই সঙ্গে ধর্ষণ মামলায়ও পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলো নগরীর লবণচরা বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকার শেখ আব্দুল জলিলের দুই ছেলে পিটিল ও শরিফুল ইসলাম, একই এলাকার মৃত সিকদারের ছেলে পলাশ এবং অহিদুল ইসলামের ছেলে সাঈদ ও লিটন। তাদের মধ্যে ঘটনার পর থেকেই শরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদ আহমেদ এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কাজী সাব্বির আহমেদ ও সংস্থার খুলনা জেলা সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে মহানগরীর লবণচরা থানা এলাকার বুড়ো মৌলভী (রহ.) দরগাপাড়া ৩ নং সড়কের ‘ঢাকাইয়া হাউস’ নামের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ইলিয়াস চৌধুরী ও তার মেয়ে পারভীন সুলতানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার আগে দুর্বৃত্তরা পারভীন সুলতানাকে ধর্ষণ করে। পরে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে লাশ গুমের চেষ্টা করে।

পারভীন সুলতানা এক্সিম ব্যাংক খুলনার কালিবাড়ী শাখার ক্যাশ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর নিহত ইলিয়াস চৌধুরীর ছেলে রেজাউল আলম চৌধুরী বিপ্লব বাদী হয়ে লবণচরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই এলাকার নোয়াব আলী গাজী ওরফে নবাব এবং আইয়ূব আলী মিস্ত্রির ছেলে আসলাম মিস্ত্রির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়। 

এরই মধ্যে পুলিশ বুড়ো মৌলভীর (রহ.) মাজার এলাকার আবুল কালামের ছেলে মো. লিটনকে গ্রেফতার করে। ওই বছরই ২১ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগর হাকিম আয়শা আক্তার মৌসুমীর আদালতে লিটন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরে ২২ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই রেজাউল আলম চৌধুরী বিপ্লব বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে লবণচরা থানায় নতুন করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।২০১৬ সালের ৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. কাজী বাবুল খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। এছাড়া ধর্ষণের মামলায় একই বছরের ২৪ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি ফরিদ আহমেদ এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এনআই

আরও পড়ুন