• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০১৯, ০৭:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩০, ২০১৯, ০৭:২৬ পিএম

ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

পটুয়াখালীর মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) গভীর রাতে বাড়ির পাশে বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষিতার বাবা নজিরপুর গ্রামের মো. জামাল বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে ধর্ষণের অভিযোগে মহিপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় মহিপুর সদর ইউনিয়নের কমরপুর গ্রামের শাহ আলম চৌকিদারের ছেলে রাকিবুলসহ (২০) তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভোরে ধর্ষিতাকে পুলিশ উদ্ধার করে তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ধর্ষকসহ অপর আসামিদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার বিবরণী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কমরপুর গ্রামের শাহ আলম চৌকিদারের ছেলে রাকিবুল ধর্ষিতার দাদির মোবাইল ফোনে কল দিয়ে কথা বলত। ওই ছাত্রী ও রাকিবুল এরই মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ফোন দিয়ে ওই ছাত্রীকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে নিয়ে যায় রাকিবুল। নজিরপুর গ্রামের বালুরঘাট নামক স্থানে নিয়ে রাকিবুল  তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

অপর দুই আসামি বাবু (২২) ও ওবায়দুল (২৪) ধর্ষণে সহযোগিতা করে। ছাত্রীটিকে ধর্ষণের পর ওই রাতে ওবায়দুল তার বাড়িতে নিয়ে রাখে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে অটোবাইকে তুলে দেয়া হয়। এ সময় ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয় ওবায়দুল।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা জামাল বলেন, বুধবার রাত থেকে তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়ে বাড়িতে ফিরে এসে তার দাদিসহ পরিবারের সদস্যদের জানায় রাকিবুল তাকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে।

মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষকসহ অপর আসামিদেরগ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এনআই

আরও পড়ুন