রূপগঞ্জে প্রেমের সম্পর্ক ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে ধর্ষক ও তার দুই সহযোগীকে আসামি করে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পড়শি এলাকায়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার পশ্চিম ব্রজেরহাট এলাকায়। তারা রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পড়শি এলাকায় বসবাস করে আসছে। স্থানীয় ইউসুফগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে।

কিশোরী স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে খিলক্ষেত থানার পাতিরা এলাকার আজিজুল হকের ছেলে আবুল কালাম আজাদ তাকে প্রেম নিবেদন করলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কও হয়। পরে আবুল কালাম আজাদ ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিশোরী আবুল কালামকে বিয়ের কথা বললে সে নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এ সময় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে আবুল কালামকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়া হয়।

গত ৫ অক্টোবর ধর্ষক আবুল কালাম কিশোরীকে বিয়ে করবে বলে গোয়ালপাড়া এলাকার ঢাকার সাহেবের বাড়িতে আসতে বলে। কিশোরী ওই বাড়িতে যায়। এরপর কিশোরীকে কাজী আসছে বলে একটি নির্জন বাড়িতে আটকে রেখে  আবুল কালাম আজাদ ও তার দুই সহযোগী সবুজ ও মাহিদ ধর্ষণ করে। পরে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ ও সবুজকে রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। রাতেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এনআই