• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২, ২০২০, ০৯:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২, ২০২০, ০৯:৪৪ পিএম

গাইবান্ধায় পুলিশের সদস্যসহ আক্রান্ত ৩ 

গাইবান্ধায় পুলিশের সদস্যসহ আক্রান্ত ৩ 

গাইবান্ধায় নতুন করে আরও ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কেভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছেন।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। 

আক্রান্ত ওই দু’জনের একজনের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকায় এবং অপরজনের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়।

শনিবার (২ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার করোনা সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুমে কর্তব্যরত ডা. মরিয়ম।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ২ হাজার ৯১৭ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ জন। ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ হাজার ১৫০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৯১ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৯৮০ জন এবং আইসোলেশনে ১৩ জন রোগী রয়েছেন।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজিবুল হক দৈনিক জাগরণকে বলেন, গত ৫-৬ দিন আগে যাদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে আইইডিসিআর থেকে দু’জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর দেয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের সদস্য এবং অপরজন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের ছেলে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, শনিবার (২ মে) আইইডিসিআর হতে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে জেলা সদর হাসপাতালের ডাক্তার বিশ্বেস্বর চন্দ্র সরকারের শরীরে করোনা সংক্রমণ পজেটিভ পাওয়া গেছে। তাকে আইসোলেসনে রাখা হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসা পরিবার ও অন্যান্যদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। 

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, আক্রান্ত পুলিশ সদস্যকে থানা এলাকার একটি রুমে আইসোলেসনে রাখা হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসা সন্দেহভাজন প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। আক্রান্ত রোগীর পরিবারের সব সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে পিপিই সরবরাহ না করায় তারা প্রত্যেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বলে তিনি জানান।

এসএমএম

আরও পড়ুন