• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৩:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৪:০৮ পিএম

বিকালে হাজির করা হচ্ছে আদালতে

যুবলীগ নেতা খালেদ ভূঁইয়ার রিমান্ড চাইবে পুলিশ

যুবলীগ নেতা খালেদ ভূঁইয়ার রিমান্ড চাইবে পুলিশ
ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া-ফাইল ছবি

....................................................................................................

ইয়াংমেন ক্লাবে নিষিদ্ধ ক্যাসিনোতে বুধবার অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে দুই নারীসহ ১৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। মদ আর জুয়ার বিপুল সরঞ্জামের পাশাপাশি প্রায় ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়

....................................................................................................

রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাব ক্যাসিনোর মালিক ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে। র‌্যাবের এক সদস্য বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর পরই আটক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশান থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে। 

ডিএমপির গুলশান জোনের পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর ওই দুই মামলায় খালেদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজই বিকেলে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। খালেদকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে, সেজন্য তাকে রিমান্ডে আবেদন করা হচ্ছে আদালতে।

র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান জানান, খালেদকে র‌্যাব হেফাজত থেকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, খালেদকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে খালেদের কাছ থেকে। তবে তদন্তের সে সব একই তথ্য গণমাধ্যমকে জানাতে নারাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করে র‌্যাব। আটকের পর তাকে র‌্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আটকের সময় খালেদের বাড়ি থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, তার লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনা করে দেখা গেছে উদ্ধারকৃত টাকার পরিমাণ ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫-৬ লাখ টাকা হবে বলে র‌্যাব জানায়। তার কাছ থেকে ৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে মতিঝিলের ক্যাসিনো পরিচালনার বিষয়টি মতিঝিল থানা পুলিশ, মতিঝিল জোন, পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপি সদর দফতরের কর্মকর্তারা জানতেন বলে দাবি করেন খালেদ। তবে পুলিশের সঙ্গে ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য কোনও আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলেন নি তিনি।

সূত্র জানায়, খালেদের ক্যাসিনোর বিষয়ে পুলিশ ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সংস্থা এবং রাজনীতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জানতেন। তাদের ম্যানেজ করেই ক্যাসিনো চালাতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন খালেদ।

জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম দৈনিক জাগরণকে বলেন, তাকে আমরা সংক্ষিপ্ত সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে সেগুলো এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে।

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন