• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯, ০১:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯, ০১:৫৯ পিএম

পরীক্ষার আগেই প্রশ্নফাঁসের বিজ্ঞাপন, সিআইডির নজরদারি বৃদ্ধি

পরীক্ষার আগেই প্রশ্নফাঁসের বিজ্ঞাপন, সিআইডির নজরদারি বৃদ্ধি

আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। অথচ এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি চক্র। বিভিন্ন পেইজ থেকে দেয়া হচ্ছে বিজ্ঞাপন। সেখানে পরীক্ষার আগে প্রশ্ন দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে ফোন নম্বরও দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী পরীক্ষারও প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এইচএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই ডিজিটালি নজরদারি করা হবে। এইচএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

ঢাবি কর্তৃপক্ষ ও সিআইডি জরুরি বৈঠকের পর প্রশ্নফাঁস চক্র শনাক্তে মাঠে নেমেছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট। বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে রাজধানীর কোচিং সেন্টার, ঢাবি এবং প্রেসের প্রতি।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, এরইমধ্যে সন্দেহভাজন একাধিক ব্যক্তির আবাসস্থল ও কোচিং সেন্টারে গোয়েন্দা তদারকি চলছে।

তিনি বলেন, দেশের যেকোনো প্রান্তে যারাই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। অতীতে তাদের ছাড় দেয়া হয়নি, বর্তমানেও দেয়া হবে না।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পদ্ধতিগত ভুলের কারণেই জালিয়াত চক্র অসদুপায়ের সুযোগ পায়। তার মতে, নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে যে পরীক্ষা নেয়া হয় তাতে এমনিতেই মেধার সঠিক যাচাই সম্ভব নয়। প্রশ্নের উত্তর লিখে দেয়ার পদ্ধতি চালু করলে জালিয়াত চক্রও কোনো সুবিধা করতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের মধ্যে ৬৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর বাইরে তদন্তে আরও ৮৯ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সিআইডির তালিকা থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জড়িতদের মধ্যে অন্তত ২১ জন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী। ছাত্রলীগের জড়িত ২১ জনের মধ্যে ১৮ জন বিভিন্ন কমিটির পদধারী নেতা ছিলেন। আর ৩ জন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, দেড় বছরের দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলার এই অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সিআইডি। এছাড়া চক্রের প্রধানসহ ৪৭ জন কারাগারে আছেন। তাদের একজন ছাড়া সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ৭৮ জন পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ সালের ৬৩ ধারা ও পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ সালের ৪/৯(খ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এইচ এম/একেএস

আরও পড়ুন