- ঢাকা
- মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
ভারতের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডল-১১ এর বিচারক পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন বলিউড সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার আনু মালিক।
তবে আনন্দবাজার, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা সহ ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, আনু মালিক নিজে নয়; দেশটির জাতীয় নারী কমিশনের এক নোটিসের প্রেক্ষিতে তাকে বিচারক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে শোটির পরিচালন কর্তৃপক্ষ।
বলিউডসহ সার বিশ্বের শোবিজ অঙ্গন তোলপাড় করা হ্যাসট্যাগ মিটুর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল আনু মালিককে।
বেশ কয়েকজন নারী তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনেন।
গত ১২ অক্টোবর আনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রথম অভিযোগটি করেন ভারতীয় গায়িকা সোনা মহাপাত্র।
সে সময় সোনা মহাপাত্রে বলেন, ‘আনু মালিক এমন একজন মানুষ, যিনি মানুষকে প্রায় সবসময় হেনস্তা করেন। ওঁৎ পেতে একের পর এক সুন্দরী শিকার করতেন আনু।’
সেই অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতেই আনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন আরও দুই নারী।
সংবাদমাধ্যম মিড ডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ করেন তারা।
একের পর এক অভিযোগ আসায় ইন্ডিয়ান আইডল এর পরিচালন কর্তৃপক্ষ সে সময় বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখে।
এ বিষয়ে আনু নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিচারকের মতো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত জানায় তারা।
তারপরেও ইন্ডিয়ান আইডল-১০ এ বহাল তবিয়তে দেখা যায় আনু মালিককে। নিজের বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগকে অস্বীকার করেন তিনি।
অবশেষে ভারতের জাতীয় নারী কমিশনের চাপের মুখে ইন্ডিয়ান আইডল-১১ থেকে সড়ে দাঁড়াতে হলো আনুকে।
আনু মালিকে ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারকের আসন থেকে সরে যাওয়াকে নৈতিক জয় বলে অভিহিত করেছেন সোনা মহাপাত্র।
শোটির পরিচালন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) টুইটে সোনা লেখেন, ‘‘ভারতের সমস্ত নারী এবং পুরুষদের ধন্যবাদ, তারা আমাদের #মুভআউটমালিক প্রচারকে সমর্থন করেছেন। মিটুতে বারংবার অভিযুক্ত আনু মালিককে এমন একটি শোয়ের বিচারক পদে দেখাটা আমাদের জন্য ভীষণ ট্রমা, বেদনা এবং মানসিক কষ্টদায়ক। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে বেশ অস্থির ছিলাম। আজ এমন সুসংবাদে আশা করছি রাতে ভাল ঘুম হবে আমার।’’
এসএমএম
