• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, ০৭:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১, ০১:২৯ এএম

দৃষ্টি কেরেছে গোবিন্দগঞ্জের মতিঝিল লেক

দৃষ্টি কেরেছে গোবিন্দগঞ্জের মতিঝিল লেক
গোবিন্দগঞ্জ মতিঝিল লেক। ছবি-সংগৃহীত

||মির-হোসেন সরকার
মতিঝিল লেক। নাম শুনলে যে কেউই ঢাকা মতিঝিল ভেবে বসবে। অথচ না। এই মতিঝিল লেক উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলে খ্যাত গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। লেকটি ঘিরে রয়েছে হাজারও মানুষের ভালোবাসা। প্রকৃতির নিবিড় আলিঙ্গনে বাঁধা চারপাশ। এখানকার সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে। সবার চোখেই এটি একটি আশার আলো। লেকটি আমাদেরকে মধ্যবিত্ত ঘরের তরুণীর মতো গভীর আন্তরিকতায় বন্ধুত্বের নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করে। তার সাথে আমাদের সম্পর্কটা অন্ত্যন্ত স্বচ্ছ ও নিবিড়। লেক ঘিরে চারপাশে রয়েছে, গোবিন্দগঞ্জ আদালত, উপজেলা পরিষদ, স্কুল, মসজিদ, চাতালসহ আরও অনেক কিছু। বিশেষ করে সবার দৃষ্টি কেরেছে লেকের পাশেই অবিস্থত টংঙ্গের চায়ের দোকান। পাশপাশি বসার জন্য আশেপাশে সবুজ ঘাস। এখানে সবসময়ই মানুষের আনাগোনা। বিকাল হলেই লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য চারপাশে প্রকৃতিপ্রেমিকদের দৃশ্যতা পাওয়া যায়। কেউ বসে আছে, কেউবা মগ্ন গল্পের তালে, কেউবা আবার চারপাশে হাঁটছে গুটি গুটি পায়ে। লেকের স্বচ্ছ জলে তাকালে অজান্তেই তার প্রতি মায়া চলে আসে।

শরতের এই সময়টায় সূর্য তেঁতে হয়ে উঠায় কাঠফাঁটা রোদের তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ঘামভেজা শরীরে নিয়ে লেকপাড়ে সাধারণ মানুষ আসে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে। এখানে প্রকৃতির হাওয়া পেলেই শরীরের ঘাম থেকে শুরু করে ক্লান্তি পর্যন্ত দূর হয়ে যায়। এখানে সকালে চোখে পড়ে মিষ্টি সূর্যোদয়, বিকেল গড়িয়ে গেলে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য, আহ কতই না সুন্দর। এখানে মাথার ওপড়ে নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ সব সময়ই দৃশ্যমান! এই লেকের একটা আলাদা রূপ আছে, আলাদা আবহাওয়া ও জলবায়ু, আলাদা রীতি-নীতি ও চালচলন এবং নিজস্ব প্রাণ আছে। এই শহরের গর্ভে জন্ম নেয়া এবং বেড়ে ওঠা প্রকৃতিপ্রেমী, লেখক, কবি, সাংবাদিকরা খুব সহজেই এসব কিছু উপলদ্ধি করতে পারেন। 

প্রকৃতির মায়ার টানে প্রতিদিন লেকপাড়ে ছুটে আসে প্রকৃতিপ্রেমিক মো. শিহাব সরকার। তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন অন্তত একটিবারের জন্য হলেও এখানে আসি। কেন আসি আমি নিজেই জানিনা। এখানকার কথা মনে উঠলেই অজান্তেই আমাকে বার বার লেকের জল আকর্ষণ করে। মনে হয় দূর থেকে আমাকের নিমিষেই তার প্রতি দূর্বলতা করিয়ে কাছে টেনে নিচ্ছে। তখন আর থাকতে না পেরে দ্রুত ছুটে আসি। শুধু আমি একাই এই লেকের প্রতি দূর্বলতা নই। এই শহরের অধিকাংশ মানুষই এই লেকের প্রতি দূর্বলতা। বিকেল হলেই সবাই এসে জড়োসড়ো হয়ে পরে লেকের চারপাশে।

বিকেলে ঘুরতে আসা রায়হান নামে আরেক প্রকৃতিপ্রেমিক বলেন, এই শহর আমাদের জন্মভূমি, আর লেক আমাদের প্রাণ। এখানে বিকেল হলেই ছুটে আসে সবাই লেকের চারপাশের পরিবেশ উপভোগ করতে। রহস্যজনক কথা হলো, এখানে আসলেই কেন জানি প্রাণ জুড়ে যায়। এখানে না আসলে কেউ বুঝতে পারবে না প্রকৃতির অপরূপ ভালোবাসা কি। এই লেক ঘিরে রয়েছে হাজারও মানুষের চলাচল। লেকের পাশে দিয়ে যেই যেখানে যাক না কেন, অন্তত একবার হলেও সে এখানে এসে দাঁড়াবে। উপভোগ করবে এই লেকের প্রতি মায়া, ভালোবাসার। এই লেক আমাদের বন্ধুত্বের মতো আঁকড়ে ধরে রাখে। আমরা চাই এই লেকের সৌন্দর্য আরও ‍দৃষ্টি কেড়ে যাক সবার হৃদয়ে। পাশাপাশি লেকের চারপাশে বসার জন্য আরও উন্নত পরিবেশ তৈরি যেন হয়, সবাই যেন এসে বসতে পারে তার জন্য উচ্চমহলে আমরা আবেদন জানাবো। এই প্রাণকে আরও সৌন্দর্যে রূপে আমরা দেখতে চাই।

জাগরণ/এমএইচ