• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৯:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ১০:০৭ পিএম

দৈনিক জাগরণকে অধ্যাপক সামন্তলাল সেন

পোড়া রোগীদের জন্য ‘চামড়া ব্যাংক’ গড়ে তোলা হবে

পোড়া রোগীদের জন্য ‘চামড়া ব্যাংক’ গড়ে তোলা হবে
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক সামন্তলাল সেন

● চামড়া ব্যাংকের বড় যোগান দাতা হবেন সাধারণ মানুষ

● চামড়া সংগ্রহ হবে ‘সদ্য মৃতদেহ’ থেকে

● দ্রুত সময়ের মধ্যে সচেতনতার কাজ শুরু : সামন্তলাল সেন

ব্লাড ব্যাংক, আই ব্যাংক এর মতো বাংলাদেশে ‘স্ক্রিন ব্যাংক বা চামড়া ব্যাংক’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পোড়া রোগীদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নিশ্চিতে যুগান্তকারী এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার স্বপ্ন দেখছে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা।

ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক সামন্তলাল সেন বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে দৈনিক জাগরণকে বলেন, এটা করার প্রবল ইচ্ছা শক্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এতো বড় একটা বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা যেহেতু করা গেছে, চামড়া ব্যাংকও করা যাবে। আর এটা করা যেতে পারলে তা হবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী একটা কাজ। 

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ পোড়া রোগীর ক্ষতস্থানের চামড়া ঝলসে একদম নষ্ট হয়ে যায়। সেখানে চামড়া প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেজন্য সংশ্লিষ্ট রোগীর দেহের অন্যস্থান থেকে চামড়া কেটে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে লাগিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু যাদের পুড়ে যাওয়ার পরিমাণ বেশি, তাদের ক্ষেত্রে এই সুযোগও থাকে না। সেক্ষেত্রে চিন্তা করতে হয়, কৃত্রিম চামড়া কিনে প্রতিস্থাপনের। কিন্তু এটা ব্যয়বহুল। বিশেষ করে দরিদ্র-মধ্যবিত্ত শ্রেণিভুক্ত রোগীর পক্ষে এই সেবা গ্রহণ সম্ভব নয়। আর পুড়ে যাওয়া রোগীদের ৯৯ শতাংশই দরিদ্র-মধ্যবিত্ত শ্রেণির।

অধ্যাপক সামন্তলাল সেন বলেন, স্বেচ্ছায় রক্তদান, মরণোত্তর চক্ষু ও দেহদানের জন্য মানুষকে যেভাবে সচেতন এবং উদ্বুদ্ধ করা হয়, আমরা সেভাবেই চামড়াদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করার কাজ করে যাবো। চামড়া সংগ্রহের অন্যতম উৎস বা মাধ্যম অথবা পন্থা হতে পারে— পরিচয়বিহীন মৃতদেহ। মরণোত্তর দেহ থেকেও চামড়া সংগ্রহ করা যাবে। তবে চামড়া সংগ্রহ করতে হবে ‘সদ্য মৃতদেহ’ থেকে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, পুড়ে যাওয়া স্থানে চামড়া প্রতিস্থাপন না করা গেলে রোগী সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে যান।এটা মৃত্যুর কারণও হতে পারে। তাছাড়া ক্ষতস্থান বিকৃত হয়ে যায়। ‘চামড়া ব্যাংক’ হলে সময়মতো প্রয়োজনীয় চামড়া পেতে বেগ পেতে হবে না। রোগীর চিকিৎসার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যাবে। 

অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন জানান, এই চামড়া ব্যাংকের বড় যোগান দাতা হবেন সাধারণ মানুষ। রক্তদান, চক্ষুদানের মতো এসব সাধারণ মানুষকে চামড়াদানের গুরুত্ব-প্রয়োজনীয়তা বুঝাতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণকে সচেতন করতে আমরা কাজ শুরু করে দেবো।

ছবি ● নিজস্ব ও ইন্টারনেট

আরএম/এসএমএম

আরও পড়ুন