• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২০, ০২:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২০, ০৩:২১ পিএম

কোভিড-১৯

মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল, সর্বাধিক শনাক্ত ৪৯২

মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল, সর্বাধিক শনাক্ত ৪৯২
ব্রিফিং করছেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ● আইইডিসিআর

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪৯২ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ ৩৪১ জন শনাক্ত হয়েছিল। ফলে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হলো সর্বশেষ এই ২৪ ঘণ্টাতেই। রোববারের (১৯ এপ্রিল) তুলনায় গত ২৪  ঘণ্টায় ১৮০ জন বেশি শনাক্ত হয়েছে। এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৪৮ জনে। এই সময়ে মারা গেছেন আরও ১০ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ জনে। রোববার (১৯ এপ্রিল) মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ জন।

সোমবার (২০ এপ্রিল) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। এদিন ব্রিফিংয়ে যোগ দেন অধিদফতরের কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।

২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এতদসংক্রান্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ বেশি।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ এবং দুই জন নারী রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার মধ্যে পাঁচজন, নারায়ণগঞ্জে চারজন এবং নরসিংদীতে একজন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরও ১০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৮৫ জন।

গাজীপুর এই মুহূর্তে কোভিড সংক্রমণের একটি উপকেন্দ্র। এর সাথে গত ২৪ ঘন্টায় যারা শনাক্ত হয়েছেন তার একটা বড় অংশ কিশোরগঞ্জে।

বয়সের হিসাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে চার জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪ জন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সি দুই জন রয়েছেন।

গাজীপুরে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। সেখানে আক্রান্তের হার প্রায় ২০ শতাংশের কাছাকাছি। আজকের তথ্য মতে গাজীপুরে আক্রান্তের হার ১৯.৫ শতাংশ।

কিশোরগঞ্জে আক্রান্তের হার ১৫.৫ শতাংশ এবং নরসিংদীতে ৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৭ জন। মোট আইসোলেশনে রয়েছেন ৭১৩ জন। এই সময়ে আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪০ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছে ৫৭৭ জন।

২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩০ হাজার ৮০৯ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ২৭০ জন।

রোববার (১৯ এপ্রিল) ৩১২ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় এবং সেদিন মারা যায় ৭ জন।

৮ মার্চ (রোববার) দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মাসের শেষ দিক থেকে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। এই সিদ্ধান্তের পরও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছেই। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপও নিয়েছে।

বিশ্বে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার। আক্রান্ত ২৩ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি। সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯ হাজারের বেশি মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৭ জন মারা গেছেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই। শুধু ইউরোপেই মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেন, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসে কমেছে মৃত্যুহার।

আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাশিয়ায়। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৮৪ জন। লক ডাউন বাড়িয়েছে মরক্কো ও জিম্বাবুয়ে। 

প্রতিবেশি দেশ ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে, প্রাণহানি সাড়ে ৫০০। পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৮। 

এসএমএম

আরও পড়ুন